জার্মানির প্যানকো-র একটি জেলা আদালত ১৩ জুন দুটি রায়ে, ২৮ মাস বয়সি আরিহা শাহকে তার জৈবিক পিতামাতার হেফাজতে তুলে দিতে অস্বীকার করেছে। বদলে আরিহাকে জার্মান যুব পরিষেবা সংস্থা জুগেন্ডামের হাতে তুলে দিয়েছে।
মা-বাবার আবেদন
শিশুটিকে সরাসরি তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার বা অন্ততপক্ষে শিশুটিকে ভারতীয় শিশুকল্যাণ পরিষেবার কাছে হস্তান্তর করার জন্য ধারা এবং ভাবেশ শাহ জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে আদালত। এই ব্যাপারে আদালতের বক্তব্য যে শিশুটির 'মা-বাবা আর তাঁদের সন্তানের অবস্থান সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব পাবেন না।' কারণ, ২০২১ সালে শিশুটি যে আঘাত পেয়েছিল, তা ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান আদালত।
বিদেশ মন্ত্রকের আবেদন
৩ জুন, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জার্মান কর্তৃপক্ষকে আরিহা শাহের হেফাজত দ্রুততম সময়ে হস্তান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। একইসঙ্গে জানিয়েছিলেন যে আরিয়া শাহ 'একজন ভারতীয় নাগরিক এবং তার জাতীয়তা এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক পটভূমি তার পালন-যত্ন কোথায় হবে, তা স্থির করবে। অথবা, তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক।'
সাংসদদের আবেদন
এর আগে, দেশের ১৯টি রাজনৈতিক দলের ৫৯ জন সাংসদ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ঐক্যবদ্ধভাবে নয়াদিল্লিতে জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ অ্যাকারম্যানকে একটি যৌথ চিঠি লিখেছিলেন। তাঁকে আরিহা শাহের ভারতে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে অনুরোধ করেছিলেন। এই চিঠিতে প্রথম দিকের স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস, বিজেপি, ডিএমকে, এনসিপি, টিএমসি, এসপি, আরজেডি, এএপি, সিপিএম, অকালি দল, বিএসপি, শিবসেনা, সিপিআই এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদরা।
আরও পড়ুন- ‘সাইলেন্ট কিলার’! আক্রান্ত ভারতের অসংখ্য নাগরিক, কী বলছেন গবেষকরা?
কী ঘটেছিল?
আরিহা শাহকে ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে জার্মানিই লালনপালন করছে। সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র সাত মাস। সেই সময় জার্মান কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিল যে আরিহার মা-বাবা ধারা ও ভাবেশ শিশুটির ওপর অত্যাচার করছে। আর, সেই যুক্তিতেই জার্মান প্রশাসন জৈবিক মা-বাবার হাত থেকে আরিহাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। আর, নিজেরাই শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছিল।