Advertisment

Explained: মারাত্মক ঘটনা! না-জানিয়েই ব্রিটেনে এশীয় মহিলাদের ওপর ভয়ংকর পরীক্ষা, কী ঘটেছে?

বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হইচই হওয়ার সম্ভাবনা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Radioactive_Chapatis

মহিলাদেরকে দেওয়া চাপাটিতে ছিল তেজস্ক্রিয় আয়রন-৫৯। (প্রতীকী ছবি)

ব্রিটেনের একজন সংসদ সদস্য কয়েক দশক আগে কভেন্ট্রি শহরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং দক্ষিণ এশীয় মহিলাদের ওপর পরিচালিত চিকিৎসা গবেষণার জন্য একটি বিধিবদ্ধ তদন্তের আহ্বান করেছেন। কভেন্ট্রি নর্থ ওয়েস্টের লেবার দলের এমপি তাইওও ওওয়াতেমি বলেছেন যে শহরের দক্ষিণ এশীয় মহিলাদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি মোকাবিলায় কথিতভাবে একটি গবেষণার অংশ হিসেবে মহিলাদের খাওয়ানো চাপাটিতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

Advertisment

উদ্বেগের কারণ
তিনি বলেন, 'আমার সর্বাগ্রে উদ্বেগ হল মহিলা এবং তাঁদের পরিবারের জন্য, যাঁদের এই গবেষণায় পরীক্ষা করা হয়েছিল।' লেবার এমপি দাবি করেছিলেন যে এই পরীক্ষার ব্যাপারে ওই মহিলাদের সম্মতি চাওয়া হয়নি এবং পরীক্ষার সঠিক তথ্য তাঁদের দেওয়া হয়নি। ওওয়াতেমি যোগ করেছেন যে মহিলাদের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব দেখার জন্য কোনও ফলোআপ গবেষণাও করা হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের পার্লামেন্টের অধিবেশনে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করবেন।

১৯৬৯ সালের চাপাটি গবেষণা কী ছিল?
একটি সমীক্ষার অংশ হিসেবে, ১৯৬৯ সালে কভেন্ট্রিতে একজন সাধারণ চিকিৎসক (জিপি) দ্বারা চিহ্নিত প্রায় ২১ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলাকে আয়রন-৫৯ (তেজস্ক্রিয় আয়রন আইসোটোপযুক্ত চাপাটি) দেওয়া হয়েছিল। বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মহিলারা ছোটখাটো অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকের কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু, তখন তাঁরা নিজেদের অজান্তেই শহরের ব্যাপক রক্তাল্পতা (আয়রনের ঘাটতির কারণে সৃষ্ট একটি রোগ) সমস্যা সমাধানের জন্য একটি গবেষণা পরীক্ষার অংশ হয়েছিলেন। গবেষকদের সন্দেহ ছিল, এই রক্তাল্পতার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবারই দায়ী। আয়রন-৫৯ যুক্ত চাপাটি ওই রোগীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন- মাত্র কয়েক মিলিমিটার দূরত্ব, তাতেই চাঁদে তাপমাত্রার আকাশ-পাতাল ফারাক! হতবাক বিজ্ঞানীরা

ব্রিটেনের মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে
চাপাটি খাওয়ার পর, গবেষণায় অংশ নেওয়া মহিলাদের অক্সফোর্ডশায়ারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁদের শরীরে বিকিরণের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছিল। কতটা আয়রন শোষিত হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেই দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে। ব্রিটেনের মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (এমআরসি) বলেছে যে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, 'এশীয় মহিলাদের অতিরিক্ত আয়রন গ্রহণ করা উচিত। কারণ, ময়দায় কিছুতেই আয়রন মিশতে পারছে না।'

food Parliament Britain
Advertisment