আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-এর একদল অধ্যাপক ১৯৯৯ সালে 'দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)' প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি একটি নির্বাচনী নজরদারি সংস্থা। এডিআর গত ১৯ জুন নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠিতে এই সংগঠন জানিয়েছে, যে দলগুলো প্রার্থীদের অপরাধের বিবরণ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুসারে প্রার্থীদের পূর্ব অপরাধের বিবরণ প্রকাশ করা জরুরি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, 'নির্দেশ অমান্য করেছে, সেই সব রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, এমনটাই চাইছে এডিআর। যে দলগুলো ২০২৩ সালে ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুর, পঞ্জাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে এবং ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, আসাম এবং কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, সেই সব দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।' এমনটাই চাইছে এডিআর।
বছরের পর বছর, এডিআরের মত বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী এবং স্বাধীন নির্বাচনী পর্যবেক্ষণকারীরা অপরাধী তকমা আছে, এমন ব্যক্তিদেরকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এডিআরের হিসেব অনুযায়ী ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে নবনির্বাচিত সাংসদদের ৪৩%-র বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন ছিল।
জনস্বার্থ ফাউন্ডেশনের দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানিতে ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলার বিবরণ, তাদের ওয়েবসাইট-সহ, নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্ধারিত একটি বিন্যাসে প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করেছে। যদিও প্রার্থীরা রায়ের আগে তাদের নির্বাচনী হলফনামায় তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলো কমিশনের কাছে ঘোষণা করে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট তার আদেশে এই সব তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার করা বাধ্যতামূলক করেছে।
আরও পড়ুন- মেট্রোয় মদ বহনের অনুমতি, হঠাৎ কেন নিয়ম বদল?
আদালত রাজনৈতিক দলগুলোকে একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলাগুলোর বিবরণ মোটা অক্ষরে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, মুলতুবি মামলার প্রার্থীকে এই মামলাগুলো সম্পর্কে দলকে অবহিত করতে নির্দেশ দিয়েছে। মনোনয়ন দাখিলের পর প্রার্থী ও দলকে অন্তত তিনবার তথ্য প্রকাশ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।