Advertisment

তামিল ভূমে ক্ষমতায় ফিরতে পালানিস্বামীতেই আস্থা AIADMK'র, কিন্তু কেন?

বিজেপির অন্যতম জোট শরিক এআইএডিএমকে-এর ভোট বৈতরণী কি পালানিস্বামী পার করতে পারবেন?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মুখ্যমন্ত্রী এডাপড্ডি পালানিস্বামী

তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, এখানে প্রচি পাঁচ বছরে সরকার পরিবর্তন হয়। যতই উন্নয়ন হোক, সুশাসন হোক, ট্রেন্ড বদলায়নি। তামিলভূমের দুই রাজনৈতিক স্তম্ভ- জয়ললিতা এবং এম করুণানিধি ও তাঁদের দল এআইএডিএমকে ও ডিএমকে। তামিল রাজনীতির ভরকেন্দ্র এই দুই দলেই সীমাবদ্ধ এটা বলাই যায়। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এঁদের অনুপস্থিতি কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে, মানছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বুধবারই একুশের লক্ষ্য়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে এডাপড্ডি পালানিস্বামীর উপরই ভরসা রেখেছে শাসকদল এআইএডিএমকে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে জয়ললিতার দল। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার দলের গত লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। বিজেপির অন্যতম জোট শরিক এআইএডিএমকে-এর ভোট বৈতরণী কি পালানিস্বামী পার করতে পারবেন? ট্রেন্ড নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

Advertisment

কেন পালানিস্বামীকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করল এআইএডিএমকে?

তর্কের খাতিরে বলতে গেলে, এই মূহূর্তে তাঁর থেকে জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী নেতা দলে আর কেউ নেই। মন্ত্রিসভার আস্থা রয়েছে তাঁর সঙ্গে। এমনকী বিধায়ক, দলের নেতারাও তাঁরই পক্ষে। অন্যদিকে, উপমুখ্যমন্ত্রী পন্নিসেলভম এর আগে তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন। দুবার পার্টির সুপ্রিমো প্রয়াত জয়ললিতা সরে দাঁড়ানোয় এবং তাঁর মৃত্যুর পর। আম্মার সবচেয়ে আস্থাভাজন হয়েও একটা সময়ে পন্নিরসেলভমকে বাইপাস করে দলের দখল বকলমে নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন জয়ার সর্বক্ষণের সঙ্গী শশীকলা। তখন শশীকলার সবচেয়ে অনুগত ছিলেন পন্নিরসেলভম। আম্মার মৃত্যুর পর শশীকলার নির্দেশেই মসনদে বসেন পন্নিরসেলভম। পরে শশীকলার বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করে দলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করেন পন্নিরসেলভম। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকে পালানিস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসান শশীকলা।

২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে পালানিস্বামী পন্নিরসেলভমের সঙ্গে সমঝোতা করে উল্টে শশীকলা এবং তাঁর ভাইপো দিনাকরণকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেন। তবে পালানিস্বামী কিন্তু দলে পন্নিরসেলভমকেও বেশি গুরুত্ব বাড়াতে দেননি। বরং দলের সিংহভাগ নেতৃত্বের আস্থাভাজন হয়ে এআইএডিএমকে-এর সর্বে সর্বা হয়ে উঠেছেন। রাজনৈতিক ক্ষুরধার বুদ্ধিতে তাই অনেকটাই এগিয়ে পালানিস্বামী। তাই এদিন পালানির নাম ঘোষণা কার্যত নিশ্চিতই ছিল। মুখ্যমন্ত্রী পদে অন্য কোনও নাম ওঠার সম্ভাবনাই ছিল না সেই অর্থে। কেউ বিরোধিতা করার নেই. এমনকী মাস খানেক পর বেঙ্গালুরুর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে দলে শশীকলা ফিরলেও কোনও মতেই সিদ্ধান্ত বদল হওয়ার নেই।

রাজ্যের এক প্রবীণ মন্ত্রী বলেছেন, "যদি শশীকলা ফিরে এসে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেও পালানিই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী থাকবেন। তবে শশীকলা দলের কোর কমিটি এবং সমন্বয়ক পদগুলি অবলুপ্তি ঘটাতে পারেন। তখন পন্নিরসেলভমের শশীকলার অনুগত হয়ে ছত্রছায়ায় ফিরে যাওয়া উপায় থাকবে না। তাঁর আর কোনও উপায় থাকবে না। এমনকী ২০১৭ সালের মতো বিদ্রোহও করতে পারবেন না পন্নিরসেলভম।"

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tamil nadu AIADMK
Advertisment