বাতাসে বেলুন ভাসিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন। বর্তমানে যা নিয়ে সরগরম আন্তর্জাতিক রাজনীতি। গত সপ্তাহেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার আকাশসীমা এবং কানাডার ওপর দিয়ে উড়ন্ত তিনটি অজ্ঞাত 'বস্তু' ধ্বংস করেছে। ধ্বংস হওয়া বস্তুগুলো এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তাই সেগুলো বেলুন ছিল কি না, স্পষ্ট নয়।
উভয় দেশের আকাশে বেলুন
এর মধ্যে প্রথম ঘটনাটি ৪ ফেব্রুয়ারির। একটি চিনা বেলুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে দেখা যায়। বেজিং দাবি করে, ওটা গবেষণার উদ্দেশ্যে বাতাসে ওড়ানো হয়েছে। দুর্ঘটনাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে চলে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পালটা দাবি করে, চিনের চারটি বেলুন তার আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। প্রথমে বোঝা না-গেলেও পরে তা স্পষ্ট হয়। অন্যদিকে চীন গত বছর থেকে অন্তত ১০ বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার আকাশসীমায় নজরদারি বেলুন পাঠানোর অভিযোগ করেছে।
উচ্চ-উচ্চতার বেলুন
বেলুনগুলো এখন কয়েক দশক ধরে ঘনঘন ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও এই ধরনের বেলুনের ব্যবহার প্রথম নয়। ২০০ বছরের আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে। এগুলো মূলত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। তবে পর্যটন এবং আনন্দ যাত্রা, নজরদারি এবং দুর্যোগে ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্যও বেলুনের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে।
আরও পড়ুন- বিবিসি’র অফিসে আয়কর হানা, তদন্তে এখন পর্যন্ত কী পাওয়া গেছে?
বড় বেলুনের বিশেষত্ব
বড় বেলুনগুলো আকারে ফুটবল স্টেডিয়ামের মতো বড় হতে পারে। মাটি থেকে ৪০-৫০ কিলোমিটার ওপরে উড়তে পারে। কয়েক হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে। এগুলোর বেশিরভাগই সাধারণ প্লাস্টিকের ব্যাগের মতো পলিথিনের পাতলা শিট দিয়ে তৈরি। আর বেশিরভাগই হিলিয়াম গ্যাসে ভরা। বেলুনগুলো কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক মাসের মধ্যে যে কোনও জায়গা থেকে উড়তে পারে। যেগুলো দীর্ঘক্ষণ বাতাসে থাকা এবং বায়ুমণ্ডলের আরও ওপরে উড়তে পারে, সেগুলো বেশ শক্তপোক্ত আর উন্নততর উপকরণ দিয়ে তৈরি।
Read full story in English