Advertisment

Explained: ইউবিএস-এর কাছে বিক্রি হয়ে গেল ক্রেডিট সুইস, কেন বিশ্বজুড়ে ব্যাংকগুলোয় অশান্তি চলছে?

অনেকগুলো ব্যাংকের ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের আস্থা আচমকা কমে গিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Credit Swiss

সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যাংক ক্রেডিট সুইসকে ইউবিএস-এর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ইউবিএস হল সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম ব্যাংক এবং ক্রেডিট সুইসের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী। উভয়ের মধ্যে এই চুক্তিটি সুইস সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বারা তড়িঘড়ি করে করা হয়েছিল। কারণ, ক্রেডিট সুইসের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা তলানিতে ঠেকেছিল। যার জেরে গত সপ্তাহে এই ব্যাংক থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি ডলার তুলে নেন গ্রাহকরা। এই সমস্যা যাতে অন্যান্য ব্যাংকগুলোর ওপর এসে না-পড়ে, সেই জন্যই রাতারাতি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হল সুইজারল্যান্ডের সরকার।

Advertisment

এই কিনে নেওয়ার জন্য ইউবিএস ক্রেডিট সুইসকে প্রায় ৩২০ কোটি ডলার দিয়েছে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, 'সুইস সরকার বলেছে যে ক্রেডিট সুইসের ভার নেওয়ার জেরে ইউবিএসের ক্ষতি হতে পারে। এমন সম্ভাবনা রুখতে সরকার ইউবিএসকে ৯০০ কোটি ডলার দেবে। এর পাশাপাশি, সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক ইউবিএসকে ১০,০০০ কোটিরও বেশি ডলার দিয়েছে, যাতে দুই ব্যাংকের মধ্যে চুক্তিটি সহজে হতে পারে।' অনেকেই ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের এই পতন মানতে পারছেন না। কারণ, গত ১৬৬ বছর ধরে এই ব্যাংক পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছিল। সবচেয়ে বড়, কথা এই নিয়ে গত ১০ দিনে তিনটি বড় ব্যাংকের পতন ঘটল।

ব্যাংকের এই পতন যেন একটা ঝাঁকুনি দিয়ে গেল। গত ১০ মার্চ, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি), মার্কিন ১৬ ব্যাংক, আমানতকারীরা বিপুল অর্থ তোলার জেরে লাটে ওঠে। এই সব ব্যাংকগুলোর পতনের কারণের আমানতকারীদের আস্থার অভাব। একদিনে আমানতকারীরা একবারে ৪,২০০ কোটি মার্কিন ডলার দাবি করে বসেছিল। মার্কিন নিয়ন্ত্রকরা এসভিবির সমস্যা মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছেন। কারণ, এসভিবি আইকনিক লেম্যান ব্রাদার্সের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংকের পতনের ঘটনা।

আরও পড়ুন- মুন্দ্রা পেট্রোচেম প্রকল্প স্থগিত করল আদানিরা, কী লাভ হত এই প্রকল্পে?

আমানতকারীরা তাঁদের সমস্ত আমানতের ২০% দাবি করার পরে সিগনেচার ব্যাংক নামে আরেকটি ব্যাংকের পতনও ঘটেছে। এই সিগনেচার ব্যাংকের পতন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংকের পতনের ঘটনা। সিগনেচার ব্যাংকের প্রচুর লেনদেন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে হত। নিয়ন্ত্রকরা মনে করেন, এই ব্যাংক বন্ধ না-করা হলে, আরও বড় সমস্যা তৈরি হত। নিয়ন্ত্রকদের চিন্তা বাড়িয়েছে ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকও। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে।

Share Market USA Investment
Advertisment