ইনার লাইন পারমিট (ILP): আইএলপি দ্বরা সুরক্ষিত রাজ্যগুলিতে প্রবেশ করতে গেলে দেশের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের এই অনুমতি লাগে। এই অনুমতি দেয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার।
ষষ্ঠ তফশিল: উত্তর পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যের প্রশাসমিক বিষয় ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত। এই রাজ্যগুলিতে স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (ADC)-র হাতে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া আছে। ADC গুলি ওই এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারে। এর অন্যতম লক্ষ্য জনজাতিদের স্বশাসনের উপর জোর দেওয়া।
ক্যাব ২০১৯- উত্তরপূর্বের রাজ্যওয়ারি হিসেব
আসাম- এ রাজ্যে তিনটি স্বয়ংশাসিত জেলা পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ভৌগোলিকভাবে সীমান্ত লাগোয়া। এই জায়গাগুলি ক্যাব থেকে সুরক্ষাকবচ পেলেও, রাজ্যের বেশিরভাগ অংশই ক্যাব দ্বারা প্রভাবিত হবে।
মেঘালয়- এ রাজ্যেও তিনটি ADC রয়েছে। তবে আসামের সঙ্গে এর তফাৎ হল, প্রায় পুরো রাজ্যই এই তিনটি ADC-র আওতাধীন। শুধু শিলংয়ের একাংশ এর বাইরে। ক্যাব শুধু শিলংয়ের ওই অংশটুকুতেই প্রভাব ফেলবে।
ত্রিপুরা- একটি ADC-র আওতাতেই পড়ছে রাজ্যের ৭০ শতাংশ এলাকা। তবে বাকি ৩০ শতাংশ এলাকায় বাস করেন রাজ্যের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বাসিন্দা। ক্যাবের প্রভাব পড়বে আকারে ছোট কিন্তু জনবহুল এলাকায়।
অরুণাচল প্রদেশ- গোটা রাজ্যই আইএলপি ভুক্ত, ফলে ক্যাব থেকে সুরক্ষিত।
নাগাল্যান্ড- পুরো রাজ্যেই আইএলপি লাগু, ফলে ক্যাব এখানে লাগু হবে না। তবে ডিমাপুর আইএপি-র বাইরে ছিল। কিছুদিন আগে ডিমাপুরকেও আইএলপিভুক্ত করা হয়েছে।
মিজোরাম- পুরো রাজ্য আইএলপিভুক্ত, ক্যাব দ্বারা সুরক্ষিত। এরই সঙ্গে রাজ্যে তিনটি ADC-ও রয়েছে, যেগুলি ষষ্ঠ তফশিল দ্বারা সুরক্ষিত।
মণিপুর- গোটা রাজ্য নতুন আইএলপি সুরক্ষা পেতে চলেছে। এখনও আইএলপি লাগু নয় বটে, কিন্তু সংসদে ক্যাব পেশের সঙ্গে সঙ্গে মণিপুরেও আইএলপি লাগু করতে হবে সরকারকে।