ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন বা ডিজিসিএ প্রতিবন্ধী প্যাসেঞ্জারদের বিমানযাত্রা নিয়ে নিয়ম বদল করেছে শুক্রবার। তারা বলেছে, বিমানবন্দরে থাকা চিকিৎসকদের পরামর্শ না নিয়ে বিশেষ ভাবে সক্ষম কারওর বিমানযাত্রায় না করতে পারবে না কোনও এয়ারলাইন্স সংস্থা।
কী বলেছে ডিজিসিএ?
নয়া সিএআর বা সিভিল এভিয়েশন রিকোয়্যারমেন্ট অনুযায়ী, যদি কোনও বিমানসংস্থা বিমানবন্দরের চিকিৎসকের পরামর্শে কোনও বিশেষ ভাবে সক্ষম কাউকে বিমানে তুলতে অস্বীকার করে, তা হলে সেটা লিখিত ভাবে দিতে হবে ওই যাত্রীকে। এবং সঙ্গে সঙ্গেই দিতে হবে। কারণটি লেখা থাকতে হবে তাতে। সিএআর-এর নয়া নিয়মে বলা হচ্ছে, ক্যারেজ বাই এয়ার— পার্সেনস উইথ ডিস্যাবিলিটি অ্যান্ড/অর পার্সেনস উইথ রিডিউসড মোবিলিটি বা কোনও ব্যক্তি যাঁর প্রতিবন্ধকতা এবং / অথবা যাঁদের চলাচলের ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে, তাঁদের নিয়ে যাওয়ায় না বলতে পারবে না কোনও এয়ারলাইন্স। যদি বিমানসংস্থা মনে করে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা বিমানযাত্রাকালে খারাপ হতে পারে, তা হলে তাঁকে চিকিৎক পরীক্ষা করবেন, যিনি তাঁরা শারীরিক অবস্থা নির্দিষ্ট ভাবে জানাবেন, এবং বলবেন-- ওই ব্যক্তি বিমানে ওড়ার জন্য ফিট না কি আনফিট। এই মেডিক্যাল পরামর্শের পরই এয়ারলাইন্স প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
আরও পড়ুন- মমতার মতবদলের জন্য যথেষ্ট সময় আছে, তৃণমূল সুপ্রিমোকে বার্তা মার্গারেট আলভার
পুরনো নিয়ম কী ছিল?
আগের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও এয়ারলাইন্স মনে করত যে, প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন কোনও ব্যক্তিকে বিমানে ওঠালে উড়ানের সুরক্ষায় আঁচ আসতে পারে, তা হলে সেই ব্যক্তিকে তারা অনায়াসে অর্ধচন্দ্র দেখাতে পারত। যদিও এই রিফিউজাল-টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লিখিত ভাবে দেওয়ার ব্যাপারে আগেও বাধ্য থাকত যে কোনও এয়ারলাইন্স।
কেন নিয়মের বদল হল?
হ্যাঁ, কারণ না থাকলে কোনও কার্য হয় না। ফলে নিয়ম বদলের কারণও রয়েছে। শুক্রবারের এই নিয়ম বদলের সিদ্ধান্তটি আসলে জুনের ৩ তারিখ প্রস্তাবিত। মে মাসে রাঁচি এয়ারপোর্টের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। ইন্ডিগো উড়ানসংস্থা ওই বিমানবন্দরে এক বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুকে হায়দরাবাদগামী বিমানে উঠতে দেয়নি। এই না উঠতে দেওয়ার কারণ হিসেবে তারা সুরক্ষার কথা বলেছিল। বলেছিল, ওই শিশুটিকে বিমানযাত্রার ছাড়পত্র দিলে উড়ানের সুরক্ষার সঙ্গে সমঝোতা করা হবে। এই ঘটনায় ডিজিসিএ একটি তদন্ত করে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে, এবং ওই এয়ারলাইন্সকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। সে ক্ষেত্রে ডিজিসিএ বলে, এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড স্টাফেরা এই পরিস্থিতি এড়াতে পারতেন, যদি তাঁরা আরও একটু সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টিকে দেখতেন। ইন্ডিগো প্রাথমিক ভাবে তাদের গ্রাউন্ড স্টাফদের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছিল। পরে অবশ্য জানায়, তারা কেস স্টাডি করে দেখবে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি কী করে উন্নত করা যায়।
Read full story in English