Advertisment

Explained: সেনাবাহিনীর বিমানে চেপে চম্পট, কেন রাজাপক্ষ মালদ্বীপেই পালালেন?

নাশিদ ২০০৮ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার আগে, তাঁর মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) সদস্যরা ঘনঘন কলম্বোয় বৈঠক করতেন।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
palace of former Sri Lanka President Gotabaya Rajapaksa

সেনাবাহিনীর বিমানে চেপে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষ রাতারাতি মালদ্বীপে পালিয়ে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, বুধবার রাজধানী মালেতে নামার পর তিনি তাঁকে একটি অতিথিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর পরবর্তী পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। গোটাবায়া এর আগে আমেরিকায় পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, ভিসা পাননি। অন্য একটি সূত্র বলছে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশেও যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। শেষ পর্যন্ত কেন মালদ্বীপেই যাওয়ার কথা ভাবলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

Advertisment

এই ব্যাপারে মহম্মদ নাশিদের একটা যোগাযোগ আছে
রাজাপক্ষ পরিবার মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান স্পিকার মহম্মদ নাশিদের ঘনিষ্ঠ। ২০১২ সালে নাশিদ ক্ষমতাচ্যুত হন। এই সময়ে তিনি শ্রীলঙ্কায় আশ্রয় চেয়েছিলেন। সেই সময় মাহিন্দা রাজাপক্ষ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। নাশিদ ২০০৮ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার আগে, তাঁর মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) সদস্যরা ঘনঘন কলম্বোয় বৈঠক করতেন।

গত মাসে, প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংহে শ্রীলঙ্কার বিপর্যস্ত এবং বিধ্বস্ত অর্থনীতির জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগ্রহের লক্ষ্যে নাশিদকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নাশিদও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে ভালো প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর, সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন বিক্রমসিংহে।

আরও পড়ুন- অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা, প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দখল নিল বিক্ষোভকারীরা

কিন্তু, এই বন্ধুত্ব অস্বাভাবিক কিছু নয়
শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে চিরকালই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মালদ্বীপের প্রাক্তন নেতা মামুন আবদুল গাইয়ুমের তিন দশকের শাসনকালে শ্রীলঙ্কার নেতাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অবশ্য, সেই সময়েও শ্রীলঙ্কা কখনও গাইয়ুমের বিরোধী রাজনীতিকদের জন্য তার দরজা বন্ধ করেনি।

সেই সূত্র ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ভাসছিল যে গোটাবায়া রাজাপক্ষ মালদ্বীপে আসতে পারেন। যা ঘিরে উদ্বিগ্ন ছিলেন মালদ্বীপের জনগণের একাংশ। তাঁদের উদ্বেগের কারণ, এতে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। মালদ্বীপের অনেকে শ্রীলঙ্কায় পড়তে যান। আবার অনেকে কাজ করতেও শ্রীলঙ্কা থেকে মালদ্বীপে যান। শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রক গোটাবায়ার মালদ্বীপে যাওয়ার ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করেনি। বদলে খবর রটেছিল, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বুধবার গভীর রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের দিকে রওনা দেবেন। ঠিক এতটাই গোপন রাখা হয়েছিল গোটাবায়ার শ্রীলঙ্কা ছাড়ার পরিকল্পনা।

Read full story in English

Sri Lanka Gotabaya Rajapaksa Sri Lanka Crisis
Advertisment