/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/Congress-Scam.jpg)
রাজধানী রায়পুরে কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মাত্র কয়েক দিন আগে সোমবার ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যে সব ঠিকানায় ইডি অভিযান চালিয়েছে, সেগুলোর প্রতিটাই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ঠিকানা। এই ঘটনাকে কংগ্রেস রাজনৈতিক শত্রুতার অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে।
দাবি ও পালটা দাবি
বিজেপির পালটা দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তহবিল তছরুপের অভিযোগে তল্লাশি চালিয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তদন্তকারীদের আরও অভিযোগ, ছত্তিশগড়ে বর্তমানে কয়লা পরিবহণ করতে গেলে বেআইনি শুল্ক দিতে হচ্ছে। সেই বেআইনি শুল্কের টাকাই যাচ্ছে কংগ্রেস নেতাদের পকেটে।
ব্যাপারটা কী?
ইডি অভিযোগ করেছে যে, ছত্তিশগড়ে কয়লা-ব্যবহারকারী সংস্থাগুলোর থেকে কয়লার টনপ্রতি ২৫ টাকা করে বেআইনি তোলা আদায় করা হচ্ছে। এই তোলা আদায় চলছে কিছু ফড়ে ও রাজনীতিবিদ এবং আমলার যোগসাজশে। ইডির অভিযোগ, গত কয়েক বছরে এই পদ্ধতিতে ৫৪০ কোটি টাকারও বেশি সংগ্রহ করা হয়েছিল।
তোলার অর্থ কোথায় গিয়েছে?
অর্থের একটি অংশ কংগ্রেসের রাজনীতিবিদদের কাছে চলে গেছে। সংস্থাটি আয়কর বিভাগের এফআইআরের ভিত্তিতে গত বছরের অক্টোবরে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। এরপর থেকে এটি বেশ কয়েকবার তল্লাশি চালিয়েছে। নয় জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ১৭০ কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন- ভারত-পাক কাঁটাতারে ছিন্ন প্রেম, শুরুটা হয়েছিল লুডোয়, শেষটা গ্রেফতারি-নির্বাসনে
মামলাটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
তদন্ত চলাকালীন, ইডি কেবল ছত্তিশগড়ের শীর্ষ আমলাদের বিরুদ্ধেই অভিযান চালায়নি। কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও করেছে। তদন্তগুলো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে, ইডি বাঘেলের ডেপুটি সেক্রেটারি সৌম্য চৌরাসিয়াকে গ্রেফতার করেছিল। চৌরাসিয়া, একজন রাষ্ট্রীয় পরিষেবা আধিকারিক। বাঘেলের অফিসে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব ছিল। চৌরাসিয়া ছাড়াও ইডি বর্তমানে জলসম্পদ, পর্যটন এবং সংস্কৃতি বিভাগের সচিব, ২০০৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার পি আনবালগানের ঠিকানাতেও তল্লাশি চালিয়েছে।
পাশাপাশি, আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণোইকে গ্রেফতার করেছে। শুধু তাই নয়, ইডি আধিকারিকরা গত অক্টোবরে রায়গড়ের জেলাশাসক রানু সাহুর বাড়িতেও অভিযান চালিয়ে তাঁকে 'নিখোঁজ' বলে ঘোষণা করে। শুধু তাই নয় চলতি মাসের গোড়ায় তিনজন আইপিএস আধিকারিকের বিরুদ্ধেও একটি মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যা আসলে চার্জশিট পেশেরই সমতুল্য।