Advertisment

মায়াবতী ও যোগীর বিরুদ্ধে কেন হুইপ জারি করল নির্বাচন কমিশন?

কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুজনেই নিজেদের ভাষণে অত্যন্ত প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে বর্তমান বিভেদকে বাড়িয়ে তুলেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Adityanath and Mayawati

আদিত্যনাথ ও মায়াবতী দুজনেই দ্বিতীয় দফার ভোটপর্বের শষদিনের প্রচার থেকে বঞ্চিত

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ হিসেবে যথেষ্ট  বিরল। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বেশি বিপাকে পড়বে বহুজন সমাজ পার্টি কারণ তাঁর দলের পক্ষে তিনিই একমাত্র তারকা প্রচারক।

Advertisment

১৬ এপ্রিল সকাল ৬ টা থেকে যোগী তিনদিনের জন্য প্রচার করতে পারবেন না। মায়াবতী প্রচার করতে পারবেন না দু দিনের জন্য। এর অর্থ ১৮ এপ্রিলের দ্বিতীয় দফার ভোটের আগের শেষ দিনের প্রচারে তাঁরা দুজনেই অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। উত্তর প্রদেশের আটটি কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে। এই কেন্দ্রগুলি হল, নাগিনা, আমরোহা, বুলন্দশহর, আলিগড়, হাথরাস, মথুরা, আগ্রা এবং ফতেপুর সিক্রি।

আরও পড়ুন, কেন বামপন্থী এই লোকসভা নির্বাচন

মঙ্গলবার আগ্রার সভায় ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল মায়াবতীর। ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল নাগিনা এবং ফতেপুর সিক্রিতে ও উত্তরপ্রদেশের বাইরে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল যোগী আদিত্যনাথের।

ভাষণে আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য এই দুই নেতার প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুজনেই নিজেদের ভাষণে অত্যন্ত প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে বর্তমানের বিভেদকে বাড়িয়ে তুলেছেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি করেছেন... যা আদর্শ আচরণবিধির বিরোধী।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সবুজ ভাইরাস এবং বজরংবলী সম্পর্কিত বক্তব্যের কথা মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রীও স্বীকার করেছেন যে যিনি তাঁর ভাষণে কোয়ালিশন দলগুলির প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে বিশেষভাবে আবেদন করেছেন।

গত ৭ এপ্রিল দেওবন্দে ভাষণ দেন মায়াবতী, যোগী মিরাটে ভাষণ দেন ৯ এপ্রিল। কমিশন বলেছে,  প্রবীণ নেতা হিসেবে হিসেবে দুজনেরই বক্তব্য রাখার সময়ে মনে রাখা উচিত যে নির্বাচন মেরুকরণ করতে পারে এমন কোনও বিবৃতি শুধু তাঁদের নিজস্ব নির্বাচন ক্ষেত্রকেই নয়, এই ডিজিটাল যুগে অন্য জায়গাকেও প্রভাবিত করতে পারে।

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময়ে নির্বাচন কমিশন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছিল যে আচরণবিধি ভাঙা হয়ে থাকলে যেন তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি শুরু করা হয়।

Read the Story in English

yogi adityanath election commission Mayawati Explained
Advertisment