চিনে সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে গোড়া থেকেই সতর্ক ভারত। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে পরবর্তী ৪০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী সপ্তাহ থেকেই চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর থেকে আসা যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। এজন্য 'এয়ার সুবিধা' ফর্ম চালু হচ্ছে। সেই ফর্ম ফিলাপ করলে তবেই উঠবে ভারতগামী বিমানে ওঠার সুযোগ।
কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্দেশিকা চালু করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, কমপক্ষে ৩৯ জন বিদেশি যাত্রী ইতিমধ্যে ওই সব দেশ থেকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভারতে ঢুকেছেন। আর, এই পরিসংখ্যানটা শুধুমাত্র তিন দিনের। ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের। এই সময়ের মধ্যে ৬,০০০ যাত্রীর লাগাতার করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যেই ৩৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে।
অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেখেছে, পূর্ব এশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে এলেই ভারতে করোনা বাড়তে শুরু করে। ইতিমধ্যে চিনে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। চিনে করোনার B.F7 ভেরিয়েন্ট এতদিন ব্যাপকহারে সংক্রমণ ঘটিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে ভারত তাই মনে করছে, জানুয়ারি থেকে এদেশে বাড়তে পারে করোনার সংক্রমণ।
তবে, একইসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রক মনে করছে করোনায় সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু এবং হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা নিয়ন্ত্রিতই থাকবে। কারণ, ভারতে অধিকাংশ নাগরিককেই করোনার টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, অতীতে করোনায় সংক্রমিত হওয়ায় তাঁদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন- বর্ষশেষের আগে রাজ্যে ‘সান্তাক্লজ’ মোদী, ৭,৮০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, অতীতের অভিজ্ঞতা দেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অনুমান যে করোনার প্রাদুর্ভাব ৪০ দিনের বেশি স্থায়ী হবে না। আর, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, পূর্ব এশিয়ায় সংক্রমণ ঘটার ৩৫ দিন পর ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। সেকথা মাথায় রেখেই সরকার মনে করছে জানুয়ারিতে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়বে।
এর আগে মঙ্গলবার দেশের সব হাসপাতালে করোনা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছে সরকার। হাসপাতালের পরিকাঠামো, সরঞ্জাম, চিকিৎসা পদ্ধতি এবং লোকবল মক ড্রিলের মাধ্যমে কেন্দ্র খতিয়ে দেখেছে। এর আগে মোদী সরকার করোনা সংক্রমণ রুখতে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে করোনা রুখতে প্রস্তুতি নিতে বলেছিল। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই মক ড্রিলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোয়।
Read full story in English