গ্রস গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) সংগ্রহ বছরে ১৩.৪ শতাংশ বাড়ল। অক্টোবরে (সেপ্টেম্বরে বিক্রয়ের জন্য) তা বেড়েছে ১.৭২ লক্ষ কোটি টাকা। যা, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে পরোক্ষ কর ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তর। বুধবার অর্থ মন্ত্রকের তরফে এমনটাই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। জিএসটি কর্তৃপক্ষের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তি বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, ব্যবসার বিরোধ নিষ্পত্তির সঙ্গেই ভোগ এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপে বৃদ্ধি ঘটেছে। যা জিএসটির বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
সর্বশেষ জিএসটি নম্বরগুলি কী বোঝাচ্ছে?
সর্বশেষ জিএসটি সংগ্রহ এপ্রিল-অক্টোবর ২০২৩-এর মধ্যে প্রতিমাসে গড়ে ১.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। যা ২০২২ সালের এপ্রিল-অক্টোবরের মধ্যে ছিল ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা। সেই মাসিক গড় থেকে এই নতুন জিএসটি সংগ্রহের গড় অনেকটাই বেশি। সামগ্রিকভাবে, অক্টোবরে মোট জিএসটি সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৭২,০০৩ লক্ষ কোটি টাকা। যা গত ১০ মাসে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। অক্টোবরে মোট জিএসটি রাজস্বের মধ্যে, কেন্দ্রীয় জিএসটি (কেন্দ্রের দ্বারা পণ্য এবং পরিষেবাগুলির আন্তঃরাজ্য সরবরাহের ওপর ধার্য কর) ছিল ৩০,০৬২ কোটি টাকা। যা, রাজ্য জিএসটি - রাজ্যের দ্বারা পণ্য ও পরিষেবাগুলির আন্তঃ-রাজ্য সরবরাহের ওপর ধার্য করের চেয়ে কম। রাজ্যগুলির ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি (আইজিএসটি) ছিল ৩৮,১৭১ কোটি টাকা। সমস্ত আন্তঃরাজ্য পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহের ওপর ধার্য কর ছিল ৯১,৩১৫ কোটি টাকা (পণ্য আমদানিতে সংগৃহীত ৪২,১২৭ কোটি টাকা-সহ) এবং সেস ছিল ১২,৪৫৬ কোটি টাকা (তার মধ্যে পণ্য আমদানিতে সংগৃহীত ১,২৯৪ কোটি টাকা সহ)। অভ্যন্তরীণ লেনদেন থেকে রাজস্ব (সেবা-সহ) গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি ছিল। এমনটাই বিবৃতিতে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। অক্টোবরে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি থেকে ৪২,৮৭৩ কোটি টাকা আয় করেছে। আর, সামগ্রিক জিএসটি থেকে রাজ্য জিএসটি হিসেবে ৩৬,৬১৪ কোটি টাকা আয় করেছে। কিন্তু, জিএসটি থেকে প্রাপ্ত কেন্দ্রের মোট রাজস্ব ছিল ৭২,৯৩৪ কোটি টাকা এবং রাজ্যের জিএসটি থেকে প্রাপ্ত আয় ছিল ৭৪,৭৮৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- বিরোধী শীর্ষ নেতা থেকে সাংবাদিক, আড়িপাতা হচ্ছে ফোনে, কী জানাচ্ছে অ্যাপল?
জিএসটি রাজস্ব রাজ্যভিত্তিক বৃদ্ধি কত?
অক্টোবর মাসে সারা দেশে জিএসটি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্তত ২৫টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির হারে রেকর্ড করেছে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু- সর্বোচ্চ স্টেট জিএসটির (SGST) শেয়ার যথাক্রমে- ১৪ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১০ শতাংশ এবং ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত মণিপুরে আবার জিএসটির ১৯ শতাংশ পতন ঘটেছে। পাশাপাশি, বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে হিমাচল প্রদেশে ২ শতাংশ জিএসটি কমেছে। জিএসটি নিষ্পত্তির পর, স্টেট জিএসটি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব, এপ্রিল-অক্টোবরের মধ্যে মোট ৪.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। যা গত বছরে এই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ মন্ত্রক, গত কয়েক বছরের মতই চলতি নভেম্বরে এখনও পর্যন্ত অক্টোবরে প্রাপ্ত মাসিক জিএসটি রাজস্বের রাজ্যভিত্তিক বিভাজন প্রকাশ করেনি।