Advertisment

Explained: ইজরায়েলে হামলায় জড়িত! হিজবুল্লাহর নাম শুনেই কাঁপছেন অনেকে, কিন্তু কেন?

ইরান কয়েক মিলিয়ন ডলার অর্থ দিয়েছে বলেই আমেরিকার সন্দেহ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Hezbollah

এক হিজবুল্লাহ সমর্থক প্রয়াত হিজবুল্লাহ সামরিক কমান্ডার ইমাদ মুগনিয়াহের একটি পোস্টার ধরে রেখেছেন। যখন অন্যরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামাস গোষ্ঠীর হামলার উদযাপনে একটি সমাবেশে গ্রুপের এবং প্যালেস্তাইনের পতাকা নাড়েছেন। লেবাননের দাহিয়েহ অঞ্চলে শনিবার, অক্টোবরে ৭, ২০২৩। (এপি ছবি/বিলাল হুসেন)

শনিবার সকালে (অক্টোবর ৭), প্যালেস্তাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস ইজরায়েলের ওপর একটি ধ্বংসাত্মক হামলা চালায়। যার ফলে কমপক্ষে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েলি মিডিয়া। এর মধ্যে গাজা উপত্যকার উপকূলীয় প্যালেস্তাইনি অঞ্চল, যেখান থেকে হামাস যোদ্ধারা সীমান্তবর্তী ইজরায়েলে প্রবেশ করেছে, সেখানে প্রায় ২৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই হামলাকে কয়েক দশকের মধ্যে দুই পক্ষের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কয়েক দশক ধরে আঞ্চলিক, সাম্প্রদায়িক ও বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের কারণে বিপর্যস্ত বিশ্বের একটি অস্থির অঞ্চল এই গাজা।

Advertisment

হামলা বৃদ্ধির আশঙ্কা
সেখানে হামলা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার প্রধান কারণ, লেবাননের শিয়া জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহর উপস্থিতি। রবিবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে যে তারা, 'বিপুলসংখ্যক রকেট এবং গোলা' ব্যবহার করে সিরিয়ার ইজরায়েল-অধিকৃত গোলান হাইটসের সীমান্তে অবস্থিত বিতর্কিত চেবায় ইজরায়েলি এলাকা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর পাশাপাশি, হিজবুল্লাহ 'প্যালেস্তাইনি হামলা' সমর্থনও করেছে।

হিজবুল্লাহ কারা, কীভাবে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?
হিজবুল্লাহ, নামের অর্থ 'ঈশ্বরের দল'। এটি লেবাননের একটি শিয়া ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন। থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) এটিকে 'বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্র-সহ অরাষ্ট্রশক্তি বলে বর্ণনা করেছে। এই সংগঠনের একটি বিশাল এবং বৈচিত্র্যময় আনগাইডেড রকেটবাহিনী, ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী, অ্যান্টি এয়ার, অ্যান্টি ট্যাংক এবং অ্যান্টিশিপ মিসাইল রয়েছে।

তৈরির কারণ
আধুনিক ইতিহাসে, লেবানন ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত ফরাসি শাসনাধীন ছিল। তার পরে ক্ষমতা বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির মতো পদগুলি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকেদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। হিজবুল্লাহর উদ্ভব হয়েছিল লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময়। লেবাননের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। শেষ হয় ১৯৯০ সালে। সেদেশে বৃহৎ, সশস্ত্র প্যালেস্তিনীয়দের উপস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ দিনের অসন্তোষের ফলে হিজবুল্লাহ সংগঠন তৈরি হয়।

দক্ষিণ লেবানন
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিএফআর) অনুসারে, উত্তেজনাপূর্ণ জাতিগত এবং ধর্মীয় বিভাজনের জেরে ১৯৪৮ সাল থেকে প্যালেস্তিনীয় উদ্বাস্তুরা লেবাননে প্রবেশ করতে শুরু করে। ইহুদি জনগণের জন্য একটি রাষ্ট্র হিসেবে ইজরায়েল তৈরির পর লেবাননের একাংশে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। হিজবুলের কারণেই ইজরায়েলি বাহিনী ১৯৭৮ সালে এবং ফের ১৯৮২ সালে প্যালেস্তিনীয় গেরিলা যোদ্ধাদের বিতাড়িত করতে দক্ষিণ লেবানন আক্রমণ করেছিল।

আরও পড়ুন- রহস্যময় তিব্বতে চিনের দখলদারি ছিল আরও রহস্যময়, কীভাবে ঘটেছিল?

ইরানের প্রশিক্ষণ
ইজরায়েলের এই হামলা গেরিলাদের হিজবুল্লাহ সংগঠন গঠনের দিকে পরিচালিত করে। ১৯৭৯ সালে ইরানে একটি ধর্মতান্ত্রিক ইসলামিক সরকার গঠিত হয়। তা-ও হিজবুল্লাহ সংগঠন গঠনের দিকে জঙ্গিদের অনুপ্রাণিত করে। ইরান এবং তার ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) হিজবুল্লাহর উদীয়মান জঙ্গিদের তহবিল এবং প্রশিক্ষণ দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান, ইরান হিজবুল্লাহকে কয়েক মিলিয়ন ডলার তহবিল সরবরাহ করেছে। আর, হিজবুল্লাহর কয়েক হাজার যোদ্ধা আছে।

Hizbul Mujahideen Islam Lebanese gunman
Advertisment