ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে কোভিড দাপট। প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়িয়ে শেয়ার বাজার লক্ষ্মীলাভের মুখ দেখলেও সপ্তাহের শুরুতে বিপর্যয় দেখা দিল। সোমবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স প্রায় ১৪৮০ পয়েন্ট কমেছে এদিন। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৩ শতাংশ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ উর্ধ্বমুখী ছিল। এদিন বাজার খুলতেই সেনসেক্স নেমে যায় ৪৮ হাজার ১১২ পয়েন্টে। ডলারের তুলনায় টাকার দামও পড়ে যায়। সোমবার মার্কিন ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দাম হয় ৭৪.৯৮ টাকা।
বাজারের এমন পরিস্থিতি কেন?
দেশীয় মার্কেট সূচকগুলি সপ্তাহান্তে কোভিড -১৯ তীব্র বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং রাজ্যগুলিতে আরও কঠোর লকডাউনের ফলে উদ্বেগ বৃদ্ধি করে চাপের মুখে পড়েছিল। শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে না হলেও এখন এই কোভিড বৃদ্ধি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭০ হাজার ছুঁয়েছে। শুধু দেশে নয়, বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতি কম বেশি একই। এশিয়ার অন্যান্য বাজারগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিও উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে। সোমবার জাপান, চিন, হংকংয়ে শেয়ার বাজার পড়েছে এক থেকে ২ শতাংশ।
ঠিক কী অবস্থা এখন?
ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেখানে কেবল কঠোর বিধি নিষেধ নয় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির উপর যার প্রভাব পড়তে বাধ্য। সোমবার মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৬৩ হাজার। দুই সপ্তাহের জন্য সেখানে লকডাউন হতে পারে। যা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বর্তমানে সতর্ক হয়ে উঠছে বিনিয়োগকারীরা। যার জের পোহাতে হচ্ছে শেয়ার বাজারকে।
আগামী দিনে কতটা চাপ পড়বে বাজারে?
কোভিড আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় চারিদিকে উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও মার্কেট বিশেষজ্ঞদের মতে ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসে অর্থনীতি যেভাবে ধসে গিয়েছিল তেমন পরিস্থিতি হয়ত হবে না। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লকডাউন যদি হয় আবার আগের আর্থিক অবস্থায় ফিরে আসতেও দেরি হতে পারে। টিকাকরণের পর থেকে শেয়ার বাজার লক্ষ্মীলাভের মুখ দেখেছিল।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন