হেলিকপ্টারের ইঞ্জিনে যখন তখন আগুন ধরে যেতে পারে। এটা জানতে পারার পর মার্কিন সেনাবাহিনী তার CH-47 চিনুক হেলিকপ্টারকে বাতিল করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীতেও চিনুক হেলিকপ্টার আছে। এই হেলিকপ্টারের সমস্যাগুলো কী? কীভাবে ভারতীয় বিমানবাহিনী সেই সব সমস্যা মিটিয়েছে?
কেন মার্কিন সেনাবাহিনী চিনুক বাতিল করল?
মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রায় ৪০০টি চিনুক হেলিকপ্টার আছে। এগুলো তৈরি করেছে বোয়িং সংস্থা। এই কপ্টার উদ্ধারকাজ-সহ বিভিন্ন ধরনের কাজে লাগানো হয়। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, সেই চিনুক কপ্টারগুলো মার্কিন সেনা বাতিল করল। কারণ, দেখা গিয়েছে যে এর ইঞ্জিনে আচমকা আগুন লেগে যাচ্ছে। এতে বাহিনীর কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাঁচোয়া একটাই, কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবুও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কপ্টারগুলোকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় নির্মাতা সংস্থা কী বলছে?
বোয়িং এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যে সমস্যাটি আসলে হানিওয়েল ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেটেডের তৈরি ইঞ্জিনের জন্য হচ্ছে। কোম্পানির একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে জার্নাল জানিয়েছে যে ওই ইঞ্জিনের কিছু উপাদান, যা ও-রিং নামে পরিচিত, তার নকশায় গলদ ছিল।
আরও পড়ুন- DA-এর দাবিতে অধ্যাপকদের ‘কর্মবিরতি’, আরাবুলের কায়দায় টেবিল চাপড়ে শাসানি তৃণমূল নেতার
ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুকগুলোর সঙ্গেও কি একই ঘটনা ঘটছে?
ভারতীয় বায়ুসেনা বা আইএএফের কাছে ১৫টি চিনুক হেলিকপ্টার আছে। কিন্তু, ভারতীয় বায়ুসেনা তার কোনও হেলিকপ্টারকে বাতিল করেনি। চিনুকগুলো নিয়ে আমেরিকা এখন কী করে, ভারত সেটাই দেখছে।
ইতিমধ্যে চিনুকের ব্যাপারে মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে ভারতীয় বিমানবাহিনী আরও তথ্য চেয়েছে। চিনুক হেলিকপ্টার ২০১৯ সালে চণ্ডীগড়ের এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। চিনুকের একটি হেলিকপ্টার ইউনিট বর্তমানে চণ্ডীগড়ে রাখা হয়েছে। অন্যটি রাখা হয়েছে আসামের মোহনবাড়ি বিমানঘাঁটিতে।
এর আগে ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ বিমান নিয়ে নানা ত্রুটির অভিযোগ উঠেছিল। ভারত মিগ বিমান কিনেছে রাশিয়ার থেকে। কিন্তু, রাশিয়া জানিয়ে দেয়, ভারত ওই সব মিগ বিমানে নিজস্ব যন্ত্রপাতি যুক্ত করেছে। তার মান ও মাপ রাশিয়ার সংস্থার মত নয়। তার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটছে। চিনুকের ব্যাপারে তাই রীতিমতো ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করতে চায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
Read full story in English