জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ টিকটক এবং উইচ্যাট বন্ধের নির্দেশে সই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কঠোর সুরে জানিয়ে দিলেন আগামী ৪৫ দিনের মধ্যেই বলবৎ করতে হবে এই নিয়ম। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে কেন ভারতের চিনা অ্যাপ ব্যান নীতিকে উল্লেখ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
এই দুই চিনা অ্যাপ বন্ধ করার কারণ দেখিয়ে ট্রাম্প বলেন যে ভারতের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রকের তরফে ৫৯টি চিনা অ্যাপ্লিকেশনগুলির উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার সময় বলা হয় "এই অ্যাপগুলি ইউজারদের তথ্য চুরি করে এবং গোপনীয়তার সঙ্গেই করে। ব্যবহারকারীদের সেই সকল তথ্য ভারতের বাইরে অবস্থানকারী সার্ভারগুলিতে পাঠিয়ে দিচ্ছে।" ভারতের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ট্রাম্পের সাফ মত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে। তাই সেক্ষেত্রে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এও বলেন, ‘টিকটক চিনা সংস্থা। কাজেই মার্কিনিদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি ফাঁসের ঝুঁকি থেকে যায়। এর ফলে লাভবান হবে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। তাই জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থেই টিকটকের মালিকের বিরুদ্ধে আগ্রাসী পদক্ষেপ করতে হবে। ট্রাম্প শুক্রবার জানিয়েছিলেন, মাইক্রোসফ্টের কাছে টিকটক বিক্রির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করবেন। এই দুই অ্যাপ ব্যবহার করে কোনও লেনদেনও করা যাবে না। তবে ভিডিও আপলোড করা যাবে। কিন্তু ব্যবসায়িক যোগ আছে কিংবা কোনও সংস্থা এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না।
তবে টিকটক অ্যাপের মূল সংস্থা চিন দেশিয় বাইটড্যান্সকে তাঁদের সমস্ত ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা মাইক্রোসফটের হাতে তুলে দিতে বলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত রবিবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সচিব মাইক পম্পেও ইঙ্গিত দেন যে টিকটক ক্ষমতা হস্তান্তর দিয়ে প্রথম পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাঁরা। আগামী দিনে চিনা অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়টি প্রশাসনিক পর্যায়ে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মাইক্রোসফট প্রধান সত্য নাদেলা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন যে মাইক্রোসফটের হাতে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ অবধি সময় আছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন