কাজের দিনের শুরুতেই সোমবার ধাক্কা খেল দেশের শেয়ার বাজার। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার সূচক সেনসেক্স পড়ল ১,২৮০ পয়েন্ট বা ২.২ পয়েন্ট। বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগ, চিনা অর্থনীতির দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ, মার্কিন ফেডারেল ব্যাংকের সুদের আশাতীত হার বৃদ্ধি, এই পতনের অন্যতম কারণ। এর পাশাপাশি, ফের করোনা সংক্রমণের প্রভাব তো আছেই।
শুধুমাত্র ভারতীয় শেয়ার বাজারের সেনসেক্সই না। এশিয়ার অন্যান্য শেয়ার বাজারেও সোমবার সূচক পড়েছে। জাপানের শেয়ার সূচক নিক্কি পড়েছে ১.৯ শতাংশ। চিনের সাংহাই কম্পোজিট পড়েছে ১.৩ শতাংশ। চার দিন পড়ে খুলল ভারতীয় শেয়ার বাজার। আর, শুরুতেই পতন। তবে, এর জন্য সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার অন্যতম হল, রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপ। পাশাপাশি, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞাও শেয়ার সূচক পতনের ক্ষেত্রে বড়সড় প্রভাব ফেলেছে।
পাশাপাশি, মুদ্রাস্ফীতিও একটা বড় উদ্বেগের বিষয়। যা এই শেয়ার সূচকের পতনের অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মার্কিন ফেডারেল ব্যাংক সুদের হার আশাতীত বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই হার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু, এখন তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সুদের হার বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ হ্রাস করবেন। এর ফলে উন্নয়নশীল বাজার এবং অভ্যন্তরীণ মূলধনী বাজার চাপে পড়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি, চিনে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়াও শেয়ার বাজারের ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলেছে।
এর সঙ্গেই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধও গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলেছে। শেয়ার সূচকের পতনের জন্য এই যুদ্ধও অনেকাংশে দায়ী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর, এই শেয়ার সূচকের পতনের জন্য আগামী দিনে ভারতের বাজারেও মুদ্রাস্ফীতি অব্যাহত থাকবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read story in English