স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে ভারত একটি নতুন সংসদ ভবন পেল। এই ভবন ভারতীয়দের দ্বারা নির্মিত। সমগ্র জাতির সংস্কৃতি, গর্ব এবং চেতনাকে মূর্ত প্রতীক। কেমন এই নতুন সংসদ ভবন?
কেন ভারতে একটি নতুন সংসদ ভবন প্রয়োজন?
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী পুরনো সংসদ ভবন ১৯২৭ সালে চালু হয়েছিল। এটি প্রায় এক শতাব্দী পুরানো হেরিটেজ গ্রেড-১ বিল্ডিং। যা দশকের পর দশক ধরে সংসদীয় কার্যক্রম এবং ব্যবহারকারীদের সংখ্যাবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। সময়ের সঙ্গে এই ভবনের জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার হয়েছে। তারপরও পুরনো সংসদ ভবনের 'দশা বেশ খারাপ। আর, তাতে অতিরিক্ত ব্যবহারের লক্ষণ স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, দেখা যাচ্ছে যে এই ভবনে স্থানাভাব আছে। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা কম। প্রযুক্তির বর্তমান প্রয়োজনীয়তাও ভবনটি পূরণ করতে পারছে না।'
আরও পড়ুন- বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের আইনসভা ভবন, যা দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে
সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, পুরনো সংসদ ভবনের কিছু সমস্যা:-
- সংসদ সদস্যদের বসার জায়গা সংকীর্ণ: বর্তমান ভবনটি কখনও একটি পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার জন্য তৈরি হয়নি। ২০২৬ সালের পর লোকসভা আসনের সংখ্যা বর্তমান ৫৪৫ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পুরনো ভবনে তখন নতুন সদস্যদের জায়গা দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয় সারির বাইরে কোনও ডেস্ক নেই। সেন্ট্রাল হলে মাত্র ৪৪০ জনের বসার জায়গা আছে। যখন যৌথ অধিবেশন হয়, সীমিত আসনের সমস্যা বাড়ে। চলাচলের জায়গা কম। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যা বড় ঝুঁকি।
- দুর্দশাগ্রস্ত কাঠামো: জল সরবরাহ, নর্দমার লাইন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম, সিসিটিভি ক্যামেরার মত পরিষেবাগুলোর সংযোজন বিভিন্ন জায়গায় জল চুঁইয়ে পড়ার সমস্যা তৈরি করেছে। এর প্রভাব পড়েছে সংসদ ভবনের সৌন্দর্যে। পাশাপাশি, অগ্নি নিরাপত্তার অভাব পুরনো সংসদ ভবনের একটি প্রধান উদ্বেগের কারণ।
- যোগাযোগের সমস্যা: পুরনো সংসদ ভবনে যোগাযোগের পরিকাঠামো, পুরনো প্রযুক্তি এবং গোটা হলঘরের ধ্বনি ব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন। সংসদ ভবনের কর্মীদের জন্যও যথেষ্ট জায়গা নেই। কর্মীদের জায়গা ভাগাভাগি করে কাজ করতে হচ্ছে।
- নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ: পুরনো সংসদ ভবনটি যখন তৈরি হয়েছিল তখন ভূমিকম্পের বিচারে দিল্লি সিসমিক জোন-২-এ ছিল। বর্তমানে দিল্লি সিসমিক জোন-৪-এ আছে। এই পরিস্থিতিতে ভবনটির কাঠামোগত নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সরকারি ওয়েবসাইটে।