Why is the CCS the most important: কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। প্রত্যেক সরকারের মত এই সরকারেও ক্যাবিনেট কমিটিতে কারা আছেন, তাই নিয়েই সকলের চূড়ান্ত আগ্রহ। প্রশ্ন হল, ক্যাবিনেট কমিটি কী? আর, এক্ষেত্রে আরেকটা শব্দ খুব বেশি করে উঠে আসছে। সেটা হল, ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস)। প্রশ্ন হল, এই ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটিই বা কী?
রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় মোদী সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগেই তৃতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রকের চেহারাটা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কারণ, প্রধানমন্ত্রী মনোনীত সদস্যদের সঙ্গে শপথগ্রহণের ঠিক আগের দিনই নিজের বাসভবনে চা পান করেছিলেন। এখন কোন মন্ত্রী কোন পদ পাচ্ছেন, সেটা পরে স্পষ্ট হবে। কিন্তু, বিজেপি লোকসভায় বৃহত্তম দল। তাদের কাছে ২৪০ জন সদস্য আছে। আর, সেই কারণেই তারা শরিক দলগুলোকে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ এবং বিদেশের মত চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক হস্তান্তর করবে না।
ক্যাবিনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ বিজেপির
তাই বলা যায়, বিজেপি ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস) এর ওপর তার দখল ধরে রাখতে সক্ষম। এখন প্রশ্ন হল, সিসিইএ (ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স), সিসিপিএ (রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি)-সহ মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলো কী কী? কীভাবে এই সব কমিটি গঠিত হয়, সরকারে এই সব কমিটিগুলোর ভূমিকা এবং কার্যকারিতাই বা কী?
মন্ত্রিসভা কমিটি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার পরে এবং মন্ত্রীদের দফতরগুলো বরাদ্দ করা হলে, পরবর্তী পদক্ষেপটি হবে হাই-প্রোফাইল ক্যাবিনেট কমিটি গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে এই কমিটিগুলো গঠন করেন। এই সব কমিটিগুলোকে প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট কার্যভার অর্পণ করেন বা দায়িত্ব দেন। প্রধানমন্ত্রী চাইলে কমিটির সংখ্যা পরিবর্তন করতেই পারেন। শুধু তাই নয়, কমিটিগুলোর ওপর দেওয়া দায়িত্বও বদলাতে পারেন। প্রতিটি কমিটির সদস্য সংখ্যা থাকে তিন থেকে আট।
আরও পড়ুন- বর্তমান লোকসভায় মুসলিম জনপ্রতিনিধি কত? জানলে অবাক হয়ে যাবেন
যাঁরা ক্যাবিনেট কমিটির সদস্য
সাধারণত, শুধুমাত্র মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রিরাই এই কমিটির সদস্য হন। মন্ত্রিপরিষদের বহির্ভূত মন্ত্রীদের কমিটিতে সদস্য বা বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করা হয় না। প্রধানমন্ত্রী নিজে এই ধরনের কোনও কমিটির সদস্য হলে তিনি ওই কমিটির প্রধান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেন। কমিটিগুলো সমস্যার সমাধান করে। মন্ত্রিসভার বিবেচনার জন্য প্রস্তাব প্রণয়ন করে। আর, কমিটির ওপর অর্পিত দায়িত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। মন্ত্রিসভা এই ধরনের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করেও থাকে।