/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/Chandrayaan-3-1.jpg)
চাঁদের দৃশ্যমান গোলার্ধের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত ক্ল্যাভিয়াস গর্তের ছবি। (সৌ: নাসা)
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩। এটাই ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অভিযান। এটা ২০১৯ চন্দ্রযান-২ মিশনের ফলোআপ। সেই মিশন, যার ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদে সফট-ল্যান্ডিং করতে না পারায় আংশিকভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। ইসরোর আধিকারিকদের মতে, চন্দ্রযান-৩ তার উৎক্ষেপণের প্রায় একমাস পরে চন্দ্রের কক্ষপথে পৌঁছবে এবং এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান ২৩ আগস্ট চাঁদে অবতরণ করবে।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবতরণ
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডিং সাইট কমবেশি চন্দ্রযান-২ এর মতই, ৭০ ডিগ্রি অক্ষাংশে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে নরম ভূমিতে অবতরণ করবে। যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিশ্বের প্রথম মিশন হয়ে উঠতে চলেছে। চাঁদে অবতরণ করা আগের সমস্ত মহাকাশযান নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবতরণ করেছে। চন্দ্রের বিষুব রেখার উত্তর বা দক্ষিণে কয়েক ডিগ্রি অক্ষাংশে। এখনও পর্যন্ত যে মহাকাশযান চাঁদে নিরক্ষরেখা থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী অঞ্চলে গিয়েছে, তা হল সার্ভেয়ার ৭। এই মহাকাশযান মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পাঠিয়েছিল। মহাকাশ যানটি ১৯৬৮ সালের ১০ জানুয়ারি চাঁদে অবতরণ করেছিল। এই মহাকাশযান চাঁদের ৪০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশের কাছে অবতরণ করেছিল।
কেন কোনও মহাকাশযান চাঁদে দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করেনি?
কারণ, নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবতরণ করা সহজ এবং নিরাপদ। যন্ত্রের দীর্ঘ এবং টেকসই অপারেশনের জন্য ওই অঞ্চলের ভূখণ্ড এবং তাপমাত্রা যথেষ্ট উপযোগী। এখানে চাঁদের পৃষ্ঠটি সমান এবং মসৃণ। খুব খাড়া ঢাল প্রায় অনুপস্থিত। কম পাহাড় এবং গর্ত আছে। সূর্যালোক প্রচুর পরিমাণে আছে। অন্ততপক্ষে চাঁদের এই অংশের মুখ রয়েছে পৃথিবীর দিকে। যার ফলে, সৌরচালিত যন্ত্রগুলোয় নিয়মিত শক্তির সরবরাহ হয়।
আরও পড়ুন- ব্যাপকহারে বর্ষণের জের, ২০১৩ থেকেই বন্যা দেখছে ভারত, শিক্ষা নেওয়া হয়নি তারপরও!
চাঁদের মেরু অঞ্চলে অবতরণের সমস্যা
চাঁদের মেরু অঞ্চলগুলো অবশ্য বেশ ভিন্ন। এখানকার ভূখণ্ড বেশ কঠিন। অনেক অংশ সম্পূর্ণ অন্ধকার অঞ্চলে অবস্থিত। ওই সব অঞ্চলে কখনও সূর্যের আলো পৌঁছয় না। এমনকী, তাপমাত্রা ২৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচেও চলে যেতে পারে। এই অঞ্চলে সূর্যালোকের অভাব এবং অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা যন্ত্র পরিচালনায় অসুবিধা সৃষ্টি করে। এছাড়াও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বড় গর্ত রয়েছে। যার আকার কয়েক সেন্টিমিটার থেকে শুরু করে কয়েক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।