উপসর্গ থাকলেও নমুনা পরীক্ষায় কোভিড নেগেটিভ? হ্যাঁ এমন অনেক কেস সম্প্রতি নজরে এসেছে দিল্লি এইমস –এর। আর সংক্রমণের এভাবে লুকিয়ে থাকার পিছনে বড় আশঙ্কা দেখছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, এভাবে যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে, তাঁরা অন্য উপসর্গহীনদের সংক্রমিত করছে। পাশাপাশি শারীরিক অবস্থ প্রতিকূল হলে তাঁরা না পাচ্ছে হাসপাতালে বেড কিংবা জরুরি পর্যবেক্ষণ। অ্যান্টিজেন পরীক্ষা নয়, আরটি-পিসিআর টেস্টও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেগেটিভ রিপোর্ট পাঠাচ্ছে।
তাই করোনার উপসর্গ রয়েছে, এমন প্রত্যেকের চিকিৎসা বাধ্যতামূলক করা হোক। এমনটাই সুপারিশ করেছেন এইমস ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
তবে কেন উপসর্গ থেকেও রিপোর্ট নেগেটিভ?
সংক্রমণ নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী সরকার স্বীকৃত নমুনা পরীক্ষা আরটি-পিসিআর টেস্ট। কিন্তু এই টেস্টও নিশ্চিত করতে পারছে না সংক্রমণ। আইসিএমআর বলছে, ৯৫% ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর সংক্রমণ পজিটিভ দেখাচ্ছে। মানে ৫% উপসর্গ থেকেও নেগেটিভ।
এভাবেই গোটা দেশ থেকে বহুক্ষেত্রে উপসর্গ থাকার পরেও নেগেটিভ রিপোর্টের সন্ধান মিলেছে। কিন্তু কেন? তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি গবেষকরা।
যদিও চিকিৎসকরা বলছেন চারটি বিষয়ের ওপর আরটিপিসিআর টেস্ট কার্যকরী।
১) ভাইরাস বাহককে কতটা সংক্রমিত করতে পেরেছে
২) কীভাবে নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে আর কী পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে
৩) টেস্ট কিট কতটা কার্যকরী
৪) কোন কোন সূচক ধরে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে ভারতে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারে ধসে পড়েছে একাধিক রাজ্যে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল দেশের কোভিড পরিস্থিতি। ভার্চুয়ালি মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন মোদী।
এই বৈঠকে মোদীর প্রত্যেককে আর্জি, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার বার্তা দেন তিনি। আরও বেশি করে সাহায্য করে প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করতে। তিনি স্থানীয় স্তরে সমস্যায় দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করার জন্য জোর দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট বাড়ার পর এই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠককের নির্যাস হল, শতাব্দীতে একবার আসা ভয়ঙ্কর সঙ্কট হিসাবে দেখতে হবে করোনা অতিমারীকে। গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। বৈঠকে ভারত সরকারের একাধিক জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্র-রাজ্য এবং সাধারণ মানুষকে একজোট হয়ে এই লড়াই চালানোর বার্তা দেওয়া হয়। মোদীর দাবি, সরকারের সবকটা হাত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যস্ত। এছাড়াও মন্ত্রিসভায় গত ১৪ মাসে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপগুলি নিয়ে আলোচনা হয়।