বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার। গ্রহাণুর ধাক্কায় চুরমার হয়ে গেল তাদের মহাকাশযান। এটা কী ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটাল নাসা?
কী হয়েছে?
যেন কোনও কল্পবিজ্ঞান। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু। যার সংঘর্ষে পৃথিবী থেকে মুছে যেতে পারে সমস্ত প্রাণের অস্তিত্ব। বাধা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মহাকাশযান গিয়ে আঘাত করল গ্রহাণুটিকে। কোটি কোটি অর্থমূল্যের তৈরি মহাকাশযান সেই ধাক্কায় টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তবে, বেঁচে গেল পৃথিবী আর পৃথিবীবাসী।
কখন হয়েছে?
এই কল্পবিজ্ঞানটাই মঙ্গলবার ভোরে ভারতীয় সময় ৪টা ৪৬ নাগাদ বাস্তবে করে দেখাল করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। অবশ্য বাস্তবে গ্রহাণুটা পৃথিবীর দিকে যাচ্ছিল না। পৃথিবীর সঙ্গে কোনও সংঘর্ষের আশঙ্কাও ছিল না। NASA যা করতে চেয়েছিল, তা আসলে একটা পরীক্ষা। যাতে ভবিষ্যতে পৃথিবীর বুকে গ্রহাণুর আছড়ে পড়া ঠেকানো যায়।
সংঘর্ষের কারণ?
গত বছর এই বিশেষ উদ্দেশ্যে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল মহাকাশযানটিকে। পৃথিবী থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্যকে প্রদক্ষিণকারী একটি ছোট গ্রহাণু। তার সঙ্গে ধাক্কায় মহাকাশযানটিকে ধ্বংস করা। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির কক্ষপথ পরিবর্তন করা। এটাই ছিল এই সংঘর্ষের উদ্দেশ্য। সেই চেষ্টায় নাসা কতটা সফল হয়েছে, তা অবশ্য ভবিষ্যতেই জানা যাবে।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানকে অর্থসাহায্যের সিদ্ধান্ত আমেরিকার, কড়া ভাষায় তীব্র নিন্দা ভারতের
গ্রহাণুটা কি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ত?
যে দূরত্বে ওই গ্রহাণুটি ছিল, মানে ১ কোটি ১০ লক্ষ কিলোমিটার, তা পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় ৩০০ গুণ। এই গ্রহাণুর নাম ডিমারফস। সে তার কক্ষপথে ঘোরার সময় পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে এসেছিল। এটি এসে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে যেত, অবশ্য এমন কোনও আশঙ্কা ছিল না। মঙ্গলবার তাই গ্রহাণুর সঙ্গে মহাকাশযানের সংঘর্ষটি ছিল শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তির দক্ষতা দেখে নেওয়া। যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো যায়।
অতীতে কি গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে?
নাসা বলেছে যে ওই গ্রহাণু থেকে অন্তত আগামী ১০০ বছরে পৃথিবীর কোনও বিপদ নেই। তবে, পৃথিবীতে গ্রহাণুর আছড়ে পড়া বাস্তব। আর, সেটা ঘটতেই পারে। প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে একটি গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের পরই ডাইনোসর এবং সেই সময়ের অন্যান্য বেশিরভাগ জীবনপ্রকৃতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বলে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন।
Read full story in English