২০১৯ সালের অর্থনীতিতে নোবেল খেতাব বা আরও সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে "আলফ্রেড নোবেল স্মরণে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে Sveriges Riksbank Prize" যৌথভাবে পেলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডাফলো এবং মাইকেল ক্রেমের। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য তাঁদের পরীক্ষামূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডাফলো- যাঁরা ঘটনাচক্রে স্বামী-স্ত্রীও বটে, তাঁরা যৌথভাবে একটি বই লিখেছেন, যার নাম পুওর ইকোনমিক্স। অভিজিৎ এবং এস্থার ডাফলো ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়ান এবং ক্রেমের হারভার্ড ইউনাভার্সিটির সঙ্গে যুক্ত।
নোবেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, "এ বছরের নোবেল বিজেতাদের গবেষণা দুনিয়াভর দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আমাদের শক্তি বর্ধন করেছে। মাত্র দু দশকে তাঁদের নতুন গবেষণা ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়নের অর্থনীতিতে রূপান্তর এনেছে, যা বর্তমানে গবেষণার এক উদীয়মান ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
নোবেল পুরস্কারের মুখপাত্র ব্যাখ্যা করেছেন- "এই অর্থনীতিবিদদের বৈশিষ্ট্য হল, উন্নয়ন অর্থনীতির সমস্যাগুলি নিয়ে বিশেষ করে দারিদ্র্য দূরীকরণের ব্যাপারে তাঁরা সমস্যাজনক সেইসব অংশগুলিকেও ক্ষুদ্রতর অংশে ভেঙে নিয়ে বোঝার চেষ্টা করেছেন কোন নীতি কাজ করছে, কোন নীতি কাজ করেনি।"
উদাহরণ, স্কুলে যেসব শিশুরা যাচ্ছে তারা যথেষ্ট শিখছে না কেন। অভিজিৎরা এ বিষয়টিকে ভেঙে নিয়ে দেখতে চেয়েছেন, আর কী দেওয়া হলে, এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য করা যায়। এক্ষেত্রে একটা জিনিস যেমন, পাঠ্যবই। কিন্তু তাঁরা এও দেখেছেন শুধু বই দেওয়াই যথেষ্ট নয়, যদি না স্কুলগুলিকে বিনামূল্যে সংস্কারের ব্যবস্থা করা যায়।
এই দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ফিল্ড এক্সপেরিমেন্টের প্রয়োজন হয়েছে এবং বোঝার প্রয়োজন হয়েছে যে একটি ক্ষুদ্র নীতির উদ্যোগগ্রহণ কার্যকরী হচ্ছে কি না, এবং যদি না হয়, তাহলে কেন তা হচ্ছে না।
এই ভাবে সমস্যাকে দেখার ফলে সারা পৃথিবীতে কোন নীতি কাজ করছে এবং কোন নীতি পরিত্যাগ করা উচিত তা বোঝার ক্ষেত্রে গবেষকদের সুবিধে হয়েছে।
এই ঘোষণার পরেপরেই ডাফলো বলেছেন "মানুষ দরিদ্রদের উপহাসের পাত্রে পরিণত করে ফেলেছেন, তাঁদের সমস্যার শিকড় না বুঝেই... (আমরা স্থির করি) সমস্যা বোঝার চেষ্টা করব এবং প্রতিটি বিষয়কে বৈজ্ঞানিকভাবে এবং খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করব।"
Read the Full Story in English