বিদ্যুৎ ঘাটতির জের। মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের কিছু অংশে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুৎসঙ্কট যেভাবে মাত্রা ছাড়িয়েছে, তাতে এ ছাড়া অন্য পথ ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের এই বিদ্যুৎসঙ্কটের কারণ কী, তা-ই খতিয়ে দেখব আমরা।
বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি
দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে হঠাৎই। মহারাষ্ট্রে তা বেড়েছে ভাল মতো। মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেক্ট্রিক ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বা এমএসইডিসিএলের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিজয় সিংহল জানিয়েছেন, মহামারির পর বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। মহারাষ্ট্রে বাড়তি বিদ্যুৎ কিনেও প্রতি দিন ১,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের অভাব থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে, দৈনিক চাহিদা বেড়ে ২৮ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা গত বছরের এই সময়ের থেকে ১৬ শতাংশ বেশি।
কী পদক্ষেপ?
দৈনিক প্রায় ৪ হাজার মেগাওয়াটের মতো ঘাটতি ছিল প্রথমে। কোনও কোনও জায়গায় বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি চাইছিল ইউনিট পিছু ২০ টাকা। যদিও ভারত সরকারের নির্ধারিত মূল্য ইউনিট পিছু ১২ টাকা। এই অবস্থায়, প্রথম বার সেচ দফতর বাড়তি ১০ টিএমসি (Thousand Million Cubic Feet) জল দিয়েছে কোয়না জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে। এর ফলে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন হবে সেখানে। গত ১০ দিনে এ ছাড়াও ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন আরও ৭০০ মেগাওয়াট বেশি বেদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। মহাডিসকম (MahaDiscom) এ ছাড়াও আরও ৭৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চেয়েছে কোস্টাল গুজরাত পাওয়ারের থেকে এবং মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই তাদের থেকে পাচ্ছে ৪১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর পরেও বিদ্যুতের ঘাটতি ওই দেড় হাজার মেগাওয়াটের আশেপাশে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- খুচরো বাজারে রোখা যাচ্ছে না মূল্যবৃদ্ধি, মানল সরকার, আশঙ্কায় ক্রেতারা
কোন কোন অঞ্চলে লোডশেডিং হবে?
মহাডিসকম বিদ্যুৎ সরবরাহ করে নবি মুম্বই, ভাসাই ভিরার, ভানধুপ, মুলুন্দ, থানে, কল্যাণ দোমবিভালি, পানভেল এবং অন্য নানা শহরে এবং মহারাষ্ট্রের প্রান্তিক অঞ্চলে। শহুরে অঞ্চলগুলিতে প্রভাব পড়বে না, কিন্তু গ্রামীণ এলাকাগুলিতে হবে লোডশেডিং। আপাতত, সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মহাডিসকম আবেদন জানিয়েছে যে, হঠাৎ করে বিদ্যুতের চাপ যেন বাড়ানো না হয়। এবং বিদ্যুত-খরচ যেন কমানো হয়।
Read story in English