বর্তমানে ভূররাজনীতিতে আকাশসীমার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। যা দেখেই একটি দেশের সঙ্গে অন্যান্য সব রাষ্ট্রের সক্ষতা ও শক্তি আন্দাজ করা হয়। সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষিতেও আকাশসীমার ব্যবহারই ইঙ্গি দিচ্ছে যে, কোন দেশ রাশিয়ার পক্ষে, কোনটি তার বিরোধী। ২০১৯ সালে বালাকোটে অতর্কিতে বিমান হানার পর পাকিস্তান তাদের আকাশসামী ভারতের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। আবার, গত বছর ইউরোপীয় দেশগুলি বেলেরুশের বিমান চলাচলে তাদের দেশের আকাশ-পথ বন্ধ করেছে। কারণ, বেলারুশের নানা কার্যকলাপের বিরুদ্ধবাদী সাংবাদিককে গ্রেফতারের জন্য অন্য দেশের উড়ান সেখানে অবতরণে বাধ্য করা হয়েছিল।
চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসী পদক্ষেপের প্রতিবাদ করে বহু দেশ ইতিমধ্যেই তাদের আকাশপথে রুশ বিমান চলাচল নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকেই প্রতিবেশী রাশিয়ার বিমান চলাচলে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউক্রেন। এবার পুতিনের দেশের আগ্রাসী কার্যকলাপের জন্য আরও ২৯ দেশ ইউক্রেনের পথেই হেঁটেছে। পাল্টা রাশিয়াও এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে।
Flightradar24 সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত যে ২৯ দেশ রাশিয়ার বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলি হল, ব্রিটেন, চেক প্রজাতন্ত্র, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, ইস্টোনিয়া, স্লোভানিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, জার্মানি, ইতালি, আইসল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড, মালটা, ডেনমার্ক, কানাডা, লুক্সেমবার্গ, ক্রোয়েশিয়া, আলবেনিয়া, ফ্রান্স, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, গ্রীস, পর্তুগাল, বেলজিয়াম ও সুইডেন।
এই নিষেধাজ্ঞার জেরে রাশিয়ার সরকারি বা বেসরকারি বিমানকে বহু ঘুরপথে বিশ্বের নানা গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
যেমন, বিমানে সার্বিয়ার বেলগ্রেড থেকে মস্কো পৌঁছাতে আগে সময় লাগতো ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। কিন্তু, শুক্রবার থেকে নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে এই পথ যেতেই সময় লাগছে ৫ ঘন্টা ৪৫ মিনিট।
Read in English