মারাত্মক আকার ধারণ করতে চলেছে করোনা সংক্রমণ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষতি বেশি

Coronavirus: প্রথম পর্বে ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজারের গণ্ডি পেরোতে এই অতিমারী সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সময় লেগেছিল ২৩ দিন।

Coronavirus: প্রথম পর্বে ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজারের গণ্ডি পেরোতে এই অতিমারী সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সময় লেগেছিল ২৩ দিন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

যেভাবে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাস সেখানে একটি বিষয় ঠিক যে প্রথম পর্বের থেকেও দ্বিতীয় পর্বে সংক্রমণের হার কিন্তু অনেক বেশি। শুক্রবার দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬২ হাজারেরও বেশি৷ ঠিক ১০ দিন আগে এই সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার। অর্থাৎ দশ দিনে দ্বিগুণ গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস।

Advertisment

যদি সংখ্যা বিচার করা হয় তাহলে দেখা যাবে প্রথম পর্বে ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজারের গণ্ডি পেরোতে এই অতিমারী সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সময় লেগেছিল ২৩ দিন। হিসেব মত দ্বিতীয় পর্যায়ের ঢেউয়ে সংক্রমণের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যাওয়া উচিত ছিল।

publive-image
Advertisment

পাঁচ মাস ধরে করোনা কমতে থাকলেও গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফের আক্রান্ত বাড়তে থাকে। তখন মনে করা হয়েছিল যে বেশিরভাগ জনসংখ্যা রোগ প্রতিরোধ গড়ে নিয়েছে৷ কিন্তু সেপ্টেম্বরের সংক্রমণ দেখিয়েছিল যে এই ভাইরাস যাওয়ার নয়৷ কিছু সময়ের জন্য এর দাপট কমলেও ফের হানা দিয়েছে অতিমারী সৃষ্টিকারী এই ভাইরাস।

দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা ঢেউতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র। বুধবার থেকে গুজরাট আর পাঞ্জাবেও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা প্রভাব। কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুতে ফের শুরু হয়েছে সংক্রমণ। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশাতেও দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে চলেছে ক্রমাগত৷ শেষ বার বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছিল ৪ হাজার। গত কয়েকদিনে পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ডহারেই বেড়ে চলেছে সংক্রমণ৷

publive-image

শনিবার গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন ৮১২ জন। যার মধ্যে শহর কলকাতায় একদিকে আক্রান্ত ২৯৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৫ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। ফলে বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৩৯ জন। কয়েকদিনের মতোই উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের একলাফে অনেকখানি বাড়ল রাজ্যের অ্যাকটিভ কেসও।

coronavirus COVID-19 corona virus