চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই দেশের সমস্ত টেলিকম সংস্থাগুলিকে 'তথ্য সুরক্ষা অডিট' করার নির্দেশ দিল টেলিকমিশন দফতর। টেলিকম নেটওয়ার্কে ‘ব্যাক ডোর’ বা ‘ট্র্যাপ ডোর’ ইনস্টল করে তথ্য হাতিয়ে তা পাচার করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই তথ্য সুরক্ষা অডিট করতে বলা হয়েছে। তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ, এমনটাই জানা গিয়েছে।
টেলিকম ক্ষেত্রে এই তথ্য সুরক্ষা অডিট কী?
নামেই অবশ্য অনেকটা বুঝতে পারা যাচ্ছে এর অর্থ। এটি আসলে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ধাপে ধাপে নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়। এছাড়াও তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ইনস্টল করা রয়েছে কি না, সেগুলি কতটা উন্নতমানের তা ও খতিয়ে দেখা হয়। অডিটর যারা থাকেন, তাঁরা সংস্থার ডেটা স্টোরেজ এবং সুরক্ষা নীতিগুলিও যাচাই করেন। এছাড়াও সংস্থার সমস্ত বিভাগই সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলেন কি না তা পরীক্ষা করেও দেখেন।
এই অডিটের উদ্দেশ্য হ'ল 'ব্যাকডোর' এবং 'ট্র্যাপডোর'-এর দুর্বলতাগুলি পরীক্ষা করা। মনে করা হচ্ছে, ফোর-জি ও অন্যান্য পুরনো প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চিনা ভেন্ডাররা একাধিক দেশের টেলিকম নেটওয়ার্কে ‘ব্যাক ডোর’ বা ‘ট্র্যাপ ডোর’ ইনস্টল করেছে। আমাদের দেশের নেটওয়ার্কে এ ধরনের কোনও ফাঁক নেই- সেই বিষয়টি আমরা দ্বিগুণ নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।
হুয়াই টেলিকমিউনিকেশন এবং জেডটিই সংস্থার উপর বিশেষভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। কারণ চিনা সরকারের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে এই সংস্থা দুটি সম্প্রতি সেই অভিযোগ উঠেছে।
কারা এই অডিট করবে? আদৌ লাভ হবে কোনও?
টেলিকম দফতরের তরফে বলা হয়েছে যে সকল সংস্থারা সার্ট-ইন এ অন্তর্গত রয়েছে তারাই এই অডিট করতে পারবে। অর্থাৎ একটি বিষয় স্পষ্ট যে এই ফলে এখানে কোনও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকবে না। জাতীয় সুরক্ষার দিকটিকেই প্রাধান্য দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
যদিও এই অডিট প্রতি তিন থেকে চার বছর অন্তর সমস্ত সংস্থায় করে থাকে। কিন্তু এই প্রথমবার যেখানে টেলিকমিউনিকেশন দফতর ঠিক করে দিচ্ছে কোন এজেন্সি এই অডিট করবে তা। এর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রক।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন