কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর মধ্যে কাবেরী জলবণ্টন ইস্যু আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২০০ বছরের পুরোনো এই বিরোধে আগেই ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট তার রায় দিয়েছে। তার পরও এই উত্তাপ কমেনি। এবারের নিশানায় কর্ণাটকের নদীর অববাহিকা এলাকার খারাপ বৃষ্টিপাত। বিরোধী বিজেপি এবং জনতা দল ধর্মনিরপেক্ষর সমর্থনে বেশ কয়েকটি কন্নড়পন্থী সংগঠন, কৃষক গোষ্ঠী এবং শ্রমিক সংগঠন আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) বেঙ্গালুরুতে একটি বনধের ডাক দিয়েছে। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রতিদিন ৫,০০০ কিউসেক হারে জল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটককে। তার পরই কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর এই প্রতিবাদ তীব্র হয়ে উঠেছে।
বিক্ষোভকারীদের যুক্তি
বিক্ষোভকারীদের যুক্তি, তামিলনাড়ুতে জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমে বর্তমানে বর্ষা ঘনিয়ে আসছে এবং কর্ণাটকের কাবেরী অববাহিকা জলাধারগুলোতে জল সঞ্চয়ের মাত্রা খুব কম। কাবেরী হল বেঙ্গালুরু শহরের পানীয় জলের প্রধান উৎস এবং রাজ্যের মান্ডা অঞ্চলে কৃষিজমি সেচের জন্য এই জল ব্যবহৃত হয়। কাবেরী ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (সিডব্লিউএমএ)- ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে। এই কেন্দ্রীয় সংস্থা এখন দুই রাজ্যের মধ্যে বিরোধ নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন- ‘বিরাট’ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কংগ্রেসের! রানিনগরে বোর্ড গঠনে ফের স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় সত্ত্বেও কেন বিতর্ক তৈরি হয়েছে?
কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ হল যে ২০১৮ সালে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি জলবণ্টনের নিয়মগুলো শুধুমাত্র একটি সাধারণ বর্ষার বছরের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে এবং একটি দুর্যোগের বছরের জন্য নয়। যেমন, বর্তমানে বৃষ্টিপাত কম থাকার সময় ঘটছে। এবছর বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। ফলে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী হতে পারে? তামিলনাড়ুতে ডিএমকে এবং কর্ণাটকে কংগ্রেস ও জেডিএস এই দুঃসময়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। জুন মাসে শুরু হওয়া বর্ষা চার মাসের মধ্যে আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে বেশ কম হয়েছে। যা কর্ণাটকে, গত ১২৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।