বেশিমাত্রায় পেনশন নিয়ে সম্প্রতি রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও এখনও এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা আনেনি। বিষয়টি নিয়ে আরও স্বচ্ছতার দাবি জানিয়ে সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইপিএফ স্টাফ ফেডারেশনের সদস্যরা। তার মধ্যে আইনি ব্যবস্থা কী নেওয়া হচ্ছে, তা-ও স্পষ্ট করার অনুরোধ করেছেন ইপিএফ স্টাফ ফেডারেশনের সদস্যরা। পেনশন গণনার ফরমুলা এবং ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পরে অবসর নেওয়া গ্রাহকদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, চিঠিতে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
শীর্ষ আদালতের রায়
গত ৪ নভেম্বরের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৪ সালের কর্মচারী পেনশন সংশোধনী প্রকল্প বহাল রেখেছে। ইপিএফও সদস্যদের মধ্যে যাঁরা ইপিএসের সুবিধা নিয়েছেন, তাঁরা বেশি পেনশনের জন্য আবেদন জানাতে আরও চার মাস সময় পাবেন। যে কর্মচারীরা ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরের সংশোধনী অনুযায়ী বর্তমানে ইপিএস সদস্য তাঁরা প্রকৃত বেতনের সর্বোচ্চ ৮.৩৩ শতাংশ জমা দিতে পারবেন। প্রতি মাসে পেনশনযোগ্য ১৫ হাজার টাকা বেতনের মধ্যে নির্ধারিত ৮.৩৩ শতাংশ জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন- মহিলাদের জন্য আলাদা ভোটকেন্দ্র নেই কেন? ক্ষোভে ভোটই দিলেন না গ্রামবাসীরা
চিঠিতে যা আছে
সিপিএফসি নীলম শামি রাওকে একটি চিঠিতে, ফেডারেশনের মহাসচিব আর কৃপাকরণ বলেছেন যে অনেক সদস্য এবং পেনশনভোগীরা রায়ের ভিত্তিতে নির্দেশিকা চেয়ে বা নানা প্রশ্ন নিয়ে আঞ্চলিক ইপিএফ অফিসে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, 'কিন্তু, হেড অফিসের পেনশন বিভাগ এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি যা উচ্চতর পেনশন মামলাগুলোর ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেই কারণে এই নির্দেশিকা না-মেলায় পেনশনভোগীদের যথাযোগ্য উত্তর দেওয়া যাচ্ছে না।'
নভেম্বরে কী বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট?
দেশের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে যে প্রকল্পগুলোর সংশোধনী ছাড় পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ক্ষেত্রেও কার্যকরী হবে। যেমনটা, নিয়মিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ক্ষেত্রে কার্যকরী রয়েছে। EPFO-এর ছাড় পাওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রায় ১,৩০০ কোম্পানি আছে।
Read full story in English