অর্থনীতির কঠিন অবস্থার মুখেই পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধকরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র। প্রয়োজনীয় পণ্য আইন, ১৯৫৫ অনুসারে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেলবীজ, আলু, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলি রফতানির উপর নয়া বিধি জারির তিন মাস পর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদী সরকার। সাধারণত যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো পরিস্থিতি হলেই তবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই রফতানি নিষেধাজ্ঞার জের যে আগামী দিনে পড়বেই এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
কী কী কারণে রফতানি নিষেধাজ্ঞার কারণ হয়েছিল?
সব ধরণের পেঁয়াজের উপরই এই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর দুটি কারণ থাকতে পারে এক, পেঁয়াজের পাইকারি দামে অবিচ্ছিন্ন বৃদ্ধি। যার ফলে বাজারে দাম আগুন হয়েছিল। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে, লাসালগাঁওয়ের বাজারে পেঁয়াজের গড় মূল্য প্রায় ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসে প্রতি কুইন্টাল এক হাজার ৫০০ টাকার মতো বেড়েছে। নাসিক জেলার নিফাদ উপজেলার বাজারগুলির দাম যেহেতু তিন হাজার টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ এখন জুনে প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকার বদলে এখন প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকার মধ্যে লেনদেন করছে।
পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের এত দাম কেন?
অগাস্টে দেশে ভারী বৃষ্টির মুখোমুখি হয় মহারাষ্ট্র। কর্ণাটকের বাজারেও প্রায় একই অবস্থা। যার জেরে সেপ্টেম্বর থেকেই দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। ভারী বর্ষণের ফলে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশে জমিয়ে রাখা পেঁয়াজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নভেম্বরের শুরুতে মহারাষ্ট্রে নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
তাহলে কি রফতানি নিষেধাজ্ঞার ফলে পেঁয়াজের দাম কমবে?
মঙ্গলবার বাজারগুলি বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেলে রফতানি নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে দামগুলিতে তীব্র হ্রাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এক সপ্তাহ বা তার মধ্যে সামগ্রিক সরবরাহ জোর থাকায় দাম আবার বাড়বে। তারা বলছেন, নতুন ফসল কেবল নভেম্বর পরে আসবে এবং দশেরা উৎসবের মরসুম শুরুর আগে চাহিদা বাড়ার আশঙ্কা থাকায় দাম বাড়বে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন