অভিশপ্ত ১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বরের রাত। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এক বিরাট শিল্প বিপর্যয় ঘটে। ক্ষতিকারক মিথাইল আইসোসায়ানেট (এমআইসি) গ্যাস ইউনিয়ন কার্বাইড কীটনাশক প্ল্যান্ট থেকে লিক হয়। যা ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা নামে পরিচিত। প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে আনুমানিক ৩,০০০ লোক মারা যান। পাশাপাশি, পরবর্তী সময়েও অনেকে মারা গিয়েছেন। বহু লোক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অনেকে পঙ্গু হয়ে যান। পরবর্তীতে যাঁদের অনেকেরই মৃত্যুও হয়।
১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বরের রাত
ইউনিয়ন কার্বাইড (ইন্ডিয়া) লিমিটেড (ইউসিআইএল) হল মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা ইউনিয়ন কার্বাইড কর্পোরেশনের (ইউসিসি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তাদের ইউসিআইএল কীটনাশক তৈরির কারখানাটি ছিল ভোপালের উপকণ্ঠে। ২ ডিসেম্বর, অত্যন্ত বিষাক্ত এমআইসি গ্যাস ওই কারখানা থেকে বেরোতে শুরু করে। আশেপাশের অঞ্চলে বসবাসকারী লোকেদের মনে হয়, তাঁদের চোখ জ্বলছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। অনেকেই জ্ঞান হারান।
দুর্ঘটনার ফল
রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০১৯ সালের সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ৩০ টন বিষাক্ত গ্যাস ৬০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক ও আশেপাশের বাসিন্দাদের ক্ষতি করেছিল। যা ছিল ১৯১৯ সালের পরে বিশ্বের প্রধান শিল্প দুর্ঘটনাগুলোর অন্যতম।
ক্ষতিপূরণের দাবি
বিপর্যয়ের পরে, ১৯৮৫ সালে ভোপাল গ্যাস লিক দুর্ঘটনা (দাবি প্রক্রিয়াকরণ) আইন পাস করা হয়েছিল। দাবি নিষ্পত্তির জন্য ভারত সরকারকে কিছু ক্ষমতা প্রদান করেছিল এই আইন। যা অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকারের 'একচেটিয়া অধিকার' তৈরি হয় এই দাবির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। আর, তাঁদের দাবিপূরণের স্বার্থে কাজ করার।
আরও পড়ুন- দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সভাপতি হয়েছে ভারত, আদৌ গুরুত্ব আছে এই পদপ্রাপ্তির?
নতুন পিটিশন
১৯৯৯ সালে বিলিয়ন-ডলার কর্পোরেশন ডাও জোন্স নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউনিয়ন কার্বাইডের। তার সঙ্গেই ক্ষতিপূরণ বিষয়টি আবার আলোচনার কেন্দ্রে চলে আশে। ডাও জোন্স ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় পুনরায় ক্ষতিপূরণের দাবি তোলার বিরোধিতা করেছে। তারা জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনরা সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। ভোপালের সঙ্গে সম্পর্কিত কোন আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গেও তারা জড়িত নয়।
Read full story in English