নাগরিকপঞ্জি নিয়ে প্রথম বিতর্ক শুরু হয়েছিল আসামে। ২০১৯ সালে অগাস্ট মাসে নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। রাজ্যে 'অবৈধ অভিবাসীদের' উপস্থিতি এবং তাঁদের চিহ্নিতকরণ, নির্বাসনে পাঠানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, আন্দোলনে মুখর হয়েছে দেশ। ১৯৭১ সালের আগে যারা আসামে পাড়ি দিয়েছিলেন আসামের জমি অধিকার কেবল তাঁরাই পাবেন এমনটাই জানান হয়। এনআরসি প্রক্রিয়া করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টই।
এনআরসি তালিকার ফলাফলটি ভালভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে - ১.৯ মিলিয়ন লোককে এলাকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যদিও এরা প্রত্যেকেই এখন বিদেশী ট্রাইব্যুনাল (এফটি) হিসাবে পরিচিত বিচার বিভাগে এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। তবে, পদ্মিনী বড়ুয়া এবং আমান ওয়াদুদ (উভয় আইনজীবী) যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, “এনআরসি-এর পর যেভাবে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে”। এই প্রক্রিয়া কখন শুরু হবে তার কোনও চিহ্ন নেই। তাই গোটা প্রক্রিয়াটি এখন অনিশ্চিত পর্যায়ে।
এও বলা হয়, "এই ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী আইনী স্পষ্টতার অভাবেই গুরুতর পরিণতি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত"। উদাহরণস্বরূপ, শিশুদের এনআরসি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এমন একাধিক উদাহরণ রয়েছে। তাদের কি দেশের কিশোর শাসন আইন অনুযায়ী সুরক্ষা বাড়ানো হবে? নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারলে তাদের কি তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে আটক করে পাঠানো হবে? তাদের অধিকার সুরক্ষার জন্য কোন গ্যারান্টি রয়েছে? আমাদের কেবল এমন প্রশ্ন রয়েছে যার কোনও উত্তর নেই বলে মনে হচ্ছে।
২০১৮ সালে বিদেশ মন্ত্রক এনআরসি প্রক্রিয়াটিকে "সংবিধিবদ্ধ, স্বচ্ছ, আইনী", "বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়া" হিসাবে বর্ণনা করেছে। এনআরসির অন্তর্ভুক্ত যারা রয়েছেন তারাও চূড়ান্ত তালিকাটি গেজেটেড হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। "এনআরসি প্রক্রিয়াটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং যথাযথ প্রক্রিয়াগুলির গ্যারান্টি রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রকে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত"।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন