সোশ্যাল মিডিয়া টেলিগ্রামের একটি অ্যাকাউন্ট, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অ্যাপ CoWIN-এর বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ভারতীয় কমপিউটার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম (CERT-In), নোডাল সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে বসে এই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখেছেন। তারপর সরকার সিদ্ধান্তে এসেছে যে দোষটা CoWIN-এর নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আধার এবং পাসপোর্ট আগে থেকেই টেলিগ্রামের অ্যাকাউন্টের হোল্ডারের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছিল। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে CoWIN-এর তথ্য ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করে। আর, অভিযোগের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
কেন্দ্রের বক্তব্য
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রেস রিলিজ CoWIN-এর ডেটা অ্যাক্সেস করা যেতে পারে, এমন তিনটি উপায় তুলে ধরেছে: ১) একজন ব্যবহারকারী তাঁদের মোবাইল নম্বরে পাঠানো ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) এর মাধ্যমে পোর্টালে তাঁর ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারেন। ২) একজন ভ্যাকসিন দিচ্ছেন এমন ব্যক্তি একজনের ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারেন। এক্ষেত্রে CoWIN সিস্টেম প্রতিবার জেনে নেয়, যিনি ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, তাঁর তথ্য শেয়ারে অনুমতি আছে কি না। ৩) তৃতীয়পক্ষের কেউ ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তির অনুমোদন সাপেক্ষে বা শেয়ার করা OTP-র ভিত্তিতে টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পারেন।
মন্ত্রকের বক্তব্য
স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ওটিপি ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া টেলিগ্রামের অ্যাকাউন্ট বা বটের সঙ্গে CoWIN-এ নথিবদ্ধ করোনা টিকা গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারের কোনও প্রশ্নই নেই। অভিযোগ উঠেছে, টেলিগ্রামের ওই অ্যাকাউন্ট ব্যক্তির জন্মতারিখ পর্যন্ত ফাঁস করে দিয়েছে। কিন্তু, স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে যে CoWIN শুধুমাত্র জন্মের বছর সংগ্রহ করে। তারিখ সংগ্রহ করে না। আর, CoWIN অ্যাপের মাধ্যমে ব্যক্তির ঠিকানা সংগ্রহের কোনও রাস্তাই রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন- করোনার টিকা নেওয়ার অ্যাপ কোউইনকে দেওয়া তথ্য ফাঁস! কী জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক?
তথ্য শেয়ার হয়
অবশ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে দুটি অ্যাপকে একে অপরের সঙ্গে তথ্য ভাগ করতে সহায়তা করে, এমন একটি এপিআই রয়েছে। যার সাহায্যে কেবল একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তথ্য ভাগ করা যায়। তবে, এই এপিআই একদম নির্দিষ্ট। আর, তা তথ্যভাগ শুধুমাত্র বিশ্বস্ত এপিআইয়ের সঙ্গেই করে। তাই CoWIN এই এপিআইকে সাদা তালিকাভুক্ত করেছে।