Advertisment

Explained: কেন তেলেঙ্গানায় নপুংসক আইন বাতিল হল?

আইপিসি ধারা ৩৭৭ থেকে এই আইন চালু হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Telangana Eunuchs Act

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট ১৯১৯ সালের তেলেঙ্গানা নপুংসক আইন বাতিল করেছে। এটিকে 'অসাংবিধানিক' এবং ট্রান্সজেন্ডারদের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ, সেই সঙ্গে, 'তাঁদের মর্যাদার ওপর আঘাত' বলে জানিয়েছে। প্রধান বিচারপতি উজ্জল ভুঁইয়া ও বিচারপতি সিভি ভাস্কর রেড্ডির একটি বেঞ্চ বলেছে যে আইনটি নপুংসক সম্প্রদায়ের সমতার অধিকার (সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদের অধীনে), তাঁদের গোপনীয়তা এবং মর্যাদার অধিকার (অনুচ্ছেদ ২১) লঙ্ঘন করেছে।

Advertisment

তেলেঙ্গানা নপুংসক আইনে কী ছিল?
পূর্বে অন্ধ্রপ্রদেশ (তেলেঙ্গানা এরিয়া) নপুংসক আইনে বলা হয়, এটি প্রথম ১৯১৯ সালে হায়দ্রাবাদ নিজামের রাজত্বে প্রণীত হয়েছিল। আর, এটি 'নপুংসকদের' ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। এটি 'নপুংসকদের' সংজ্ঞায়িত করেছে এভাবে, 'পুরুষ লিঙ্গের সকল ব্যক্তি, যাঁরা পুরুষত্বহীন বলে স্বীকার করে বা যারা চিকিৎসা পরিদর্শনে স্পষ্টতই পুরুষত্বহীন বলে মনে হয়।'

সন্দেহের তালিকায় রাখা
আইন অনুসারে, সমস্ত নপুংসককে কর্তৃপক্ষের কাছে নথিবদ্ধ হতে বাধ্য করা হয়েছিল। এতে তাদের বসবাসের স্থানের মত তথ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কারণ তারা, 'ছেলেদের অপহরণ করবে বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। পাশাপাশি, সম্ভাব্য অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তও করা হয়েছিল।'

পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার
পরোয়ানা ছাড়াই হিজড়াদের গ্রেফতারের অনুমতি দিয়ে, আইনটি তাদের দুই বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। যদি তারা 'মহিলা পোশাকে বা অলঙ্কৃত অবস্থায় বা গান গাইতে, নাচতে বা রাস্তায় বা কোনও জনবহুল স্থানে জনসাধারণের বিনোদনে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় অথবা যেখানে একজন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে ১৬ বছরের কমবয়সি ছেলের সঙ্গে পাওয়া যেত- সেসব ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হত।

আরও পড়ুন- মোদীর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার! বেদান্ত-ফক্সকন যৌথ উদ্যোগ বাতিল

সেকেলে আইন
আইনটিকে 'সেকেলে আইন', আধুনিকতার সম্পূর্ণ বিরোধী যুক্তি দিয়ে একে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। অধিকারবাদীরা বলেছেন যে ওই আইনে অস্বাভাবিক অপরাধের উল্লেখ আইপিসি ধারা ৩৭৭ থেকে এসেছে। এই ধারা ৩৭৭ সমকামিতাকে অপরাধী করেছে। যাকে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করেছে।

Telengana Law Ministry Constitution
Advertisment