করোনা আর উদ্বেগের কোনও ব্যাপার না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একথা ঘোষণা করার কয়েক সপ্তাহ পর আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন হু-এর অধিকর্তা ড. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে তিনি বলেছিলেন যে অতিমারি এখনও শেষ হয়নি। করোনার চেয়েও ক্ষতিকারক কোনও ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে।
সতর্কবাণী
হু অধিকর্তার কথায়, 'কোভিড ১৯ শেষ নয়। আরও মারাত্মক কোনও প্যাথোজেন সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে। তা রুখতে পথ তৈরি করতে হবে। এখনই যদি সেই পথ তৈরি করা না-হয়, তবে কি অতিমারির সময় করা হবে? সেই সময় তো সবাই মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ব্যস্ত থাকবে।'
করোনা ঢেউ তুলেছিল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নোভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সতর্কতা জারির তিন বছরেরও বেশি সময় পরে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হু ঘোষণা করেছিল যে এই ভাইরাস আর আন্তর্জাতিক উদ্বেগের ব্যাপার নয়। একটা সময় করোনা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ঢেউ তুলেছিল। মৃত্যুর বন্যা বইয়ে দিয়েছিল। শেষে ভ্যাকসিনেশন আর প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ শক্তির কাছে এই ভাইরাস হার মেনেছে। করোনা আজও থাকলেও মৃত্যুর ঘটনা প্রায় নেই বললেই চলে।
খাপ খাইয়ে নিয়েছে
তবে, সংক্রমণটা এখনও আছে। এপ্রিলেই তা বেশ ছড়িয়েছিল। উপসর্গ না-থাকায় বোঝাও যাচ্ছিল না, ওটা করোনা কি না। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, ভাইরাস তার চরিত্র বদল করছে। পরিবেশের সঙ্গে তা খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নভাবে কারও ক্ষেত্রে সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিতে পারে। তবে, বেশিরভাগের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ আর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারছে না। কিন্তু, কারও ক্ষেত্রে তো এই ভাইরাস গুরুতর প্রভাব ফেলছে। ভাইরাসের চরিত্র তো বদলাচ্ছে! সেগুলো যে কোনও খারাপ পরিণতি ডেকে আনবে না, তার গ্যারান্টি কোথায়? তাই ভাইরাসের ওপর নজরদারি জরুরি। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- বিপুল টাকা খরচা করে নতুন সংসদ ভবন বানানোর দরকার কি ছিল?
ফিরে আসতে পারে
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের মহামারীবিদ্যা এবং সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ডা. আরআর গঙ্গাখেদকর এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন যে সার্স-কোভিড-২ মানুষ এবং প্রাণীর শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। তা নতুন করোনা ভাইরাসে রূপান্তরিত হতে পারে। তাই করোনার ফিরে আসা অমূলক কোনও আশঙ্কা নয়।