পঞ্চায়েত, পৌরসভা, রাজ্য বিধানসভা এবং লোকসভায় নির্বাচনের জন্য একটি সাধারণ ভোটার তালিকা হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ মাসের শুরুতেই নির্বাচন কমিশন এবং আইন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। দেশে একাধিক ভোটার তালিকা বাদ দিয়ে একক ভোটার তালিকা করতে আগ্রহী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেখে নেওয়া যাক আমাদের দেশে কেন একাধিক ভোটার তালিকা রয়েছে এবং কেন সরকার তা পরিবর্তন করতে আগ্রহী?
নির্বাচনে একাধিক ভোটার তালিকা বাদ যেতে পারে! সরকার কী চাইছে?
পঞ্চায়েত, পৌরসভা, রাজ্য বিধানসভা এবং লোকসভায় নির্বাচনের জন্য একটি সাধারণ ভোটার তালিকা হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ মাসের শুরুতেই নির্বাচন কমিশন এবং আইন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। দেশে একাধিক ভোটার তালিকা বাদ দিয়ে একক ভোটার তালিকা করতে আগ্রহী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেখে নেওয়া যাক আমাদের দেশে কেন একাধিক ভোটার তালিকা রয়েছে এবং কেন সরকার তা পরিবর্তন করতে আগ্রহী?
আমাদের দেশে কত ধরনের ভোটার তালিকা রয়েছে এবং কেন পার্থক্য রয়েছে?
অনেক রাজ্যেই পঞ্চায়েত ও পৌরসভা নির্বাচনের ভোটারদের তালিকা সংসদ ও বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত একের চেয়ে আলাদা। আমাদের দেশে নির্বাচনের তদারকি ও পরিচালনা দুটি সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন (এসইসি)-এর উপর রয়েছে। সেখানে এই পার্থক্য দেখা যায়। ১৯৫০ সালে গঠিত ইসি ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং উপ-রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এবং সংসদ, রাজ্য সমাবেশ এবং আইনসভা পরিষদগুলিতে ভোটগ্রহণ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। অন্যদিকে এসইসিগুলি পৌর ও পঞ্চায়েত নির্বাচন তদারকি করে। তারা স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনের জন্য তাদের নিজস্ব ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে।
কেন সমর্থন করছে বিজেপি?
এক দেশ-এক নির্বাচন হলে ভোটের খরচ কমবে, সব ভোট একই সঙ্গে হয়েও যাবে। এখনকার ব্যবস্থায় সব সময়েই ভোট হয়ে চলেছে এবং আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকার কারণে জনসাধারণের স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্প বা নীতি ও পরিকল্পনা ঘোষণা করা যাচ্ছে না। এই যুক্তিতেই দেশে ‘এক দেশ-এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা চালুর পক্ষে বিজেপি। বর্তমানে পঞ্চায়েত ও পুর ভোট করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ রাজ্যেই নির্বাচন কমিশনের ভোটা তালিকাকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে ব্যতিক্রম উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, আসাম, মধ্যপ্রদেশ, কেরালা, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর। এই সব জায়গায় স্থানীয়স্তরে নির্বাচনের ক্ষেত্রে পৃথক ভোটার তালিকা ব্যবহার হয়ে থাকে।
কেন কেন্দ্র এই নীতি বলবৎ করতে চাইছে?
প্রথমত, এই সাধারণ ভোটার তালিকা তৈরি গত বছর লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইশতেহারে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম। এটি একই সঙ্গে লোকসভা, রাজ্যসভা এবং স্থানীয় সংস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দলের অঙ্গীকারের সাথে জড়িত, যা ইশতেহারেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, একক বা একটি ভোটার তালিকার ডাক নতুন নয়। আইন কমিশন ২০১৫ সালে তার ২৫৫ তম প্রতিবেদনে এটির সুপারিশ করেছিল। ইসিও ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে একই ধরণের অবস্থান গ্রহণ করেছিল। এই তালিকা ঘিরে বিভ্রান্তিও রয়েছে। অনেক সময়ই দেখা যায় নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তালিকায় কোনও ভোটারের নাম নেই, আবার উল্টোটাও হয়ে থাকে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন