নেপালে গত ৩০ বছরে ৩০-এর বেশি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই সব দুর্ঘটনার বলি হয়েছে বহু মানুষ। রবিবারই যেমন নেপালে ৭২ আসনের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় সব যাত্রীই প্রাণ হারালেন। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে মাঝ আকাশেই আগুন লাগে। সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩২ হাজার ফুট ওপর থেকে বিমানটি জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডের মত মাটিতে এসে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পোখরা বিমানবন্দরের কাছে হিমালয়ের একাধিক শৃঙ্গ থাকায়, এখানে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। দ্বিতীয়ত, কুয়াশার দাপট। নেপাল প্রশাসনের দাবি, বিমান দুর্ঘটনার সিংহভাগই ঘটেছে কুয়াশার জেরে। শীতকালে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় অনেক সময়ই উড়ান সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে পাহাড়ের গায়ে। তৃতীয়ত, নেপালের অর্থনীতি। কাঠমান্ডুর আর্থিক অবস্থা ভাল না-হওয়ায় মেয়াদ উত্তীর্ণ বিমান চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এর জেরেও দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
নেপালে উল্লেখযোগ্য বিমান দুর্ঘটনা
২০২২- গত বছরের মে মাসে ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা ডিএইচসি-৬-৩০০ টুইন অটার প্লেন ওড়ার ১৫ মিনিট পরই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১৬ জন নেপালি, চার ভারতীয় এবং দুই জন জার্মানির নাগরিক প্রাণ হারান।
২০১৯- দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য নেপালের পূর্বাঞ্চলে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নেপালের পর্যটনমন্ত্রী-সহ ৬ জন প্রাণ হারান।
২০১৮- ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় আগুন ধরে যায়। বিমানবন্দরের কাছেই এক ফুটবল মাঠে বিমানটি ভেঙে পড়ে। ঘটনায় ৫১ জন মারা যান। এরমধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি। তখন নেপাল বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে।
২০১৬- তারা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান দুর্ঘটনায় ২৩ আরোহী নিহত হন। বিমানটি পোখরা থেকে ওড়ার পরই খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে।
আরও পড়ুন- গান্ধী স্মারক ভবন কী, কে দেবরাজ ত্যাগী?
২০১৪- ফেব্রুয়ারিতে মন্দ আবহাওয়ার জন্য একটি ছোট বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় ১৮ জন মারা যান।
২০১১- ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ছোট বিমান পাখির ধাক্কায় ধ্বংস হয়। ওই সময় বিমানটিতে থাকা ১৯ যাত্রীও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
Read full story in English