রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অফিসের নতুন তথ্য বলছে যে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে দেশে প্রায় ৪.৭৫ লক্ষ বেশি মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০২০ সালের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (সিআরএস)-এ থাকা এই তথ্যগুলো গত মঙ্গলবার (৩ মে) প্রকাশিত হয়েছে। ২০২০ সালের সিআরএস তথ্য জানতে বিভিন্ন মহলের আগ্রহ বেশ বেশি। কারণ, এতে করোনাজনিত মৃত্যুর পরিসংখ্যান রয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে যদিও ২০২০ সালে করোনার কারণে প্রায় দেড় লক্ষ লোক মারা গিয়েছেন।
বিরোধী দলগুলো এবং বিশেষজ্ঞদের অনেকে সেই তথ্য বিশ্বাস করতে নারাজ। তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, সরকার মৃত্যুর সংখ্যা কম করে দেখাচ্ছে। সেই কারণেই তাঁরা সিআরএস কী বলছে, তা জানতে উদগ্রীব ছিলেন। কারণ, সিআরএসে দেশবাসীর জন্ম-মৃত্যুর নথি লিপিবদ্ধ থাকে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম বা এসআরএসের ওপরও জোর দিচ্ছেন। কারণ, এখানে করোনা পরীক্ষার ফলাফল নথিবদ্ধ আছে। বর্তমানে দেশে ৯০ শতাংশের বেশি জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করা থাকে। কোনও কোনও রাজ্যে তো সংখ্যা ৯৮ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন- সারছে চরম অটিজম, গবেষণায় যুগান্তকারী ফল, কী ভাবে হচ্ছে এই অসাধ্যসাধন?
করোনায় মৃত্যু সম্পর্কে সিআরএস পরিসংখ্যান কী বলছে?
মঙ্গলবার প্রকাশিত সিআরএস ডেটা ২০২০ সালে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যার ওপর নতুন করে কোনও আলোকপাত করতে পারবে না। কারণ, সিআরএস হল সর্বজনীন জন্মের এবং মৃত্যুর রেকর্ড। এটাকে মৃত্যুর কারণ লেখা থাকে না। সর্বশেষ সিআরএস তথ্য বলছে, ২০২০ সালে ভারতে ৮১.১৬ লক্ষ মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছিল। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪.৭৫ লক্ষ বেশি। ২০২০ সালে সংখ্যাটা ৮১.১৬ লক্ষ। তবে, তাতে কতজন কোভিডে মারা গিয়েছেন, তার উল্লেখ এই নথিতে নেই।
কীভাবে নথিবদ্ধ সংখ্যা বাড়ল?
এটি লক্ষণীয় যে যা বেড়েছে তা হল মৃত্যুর সংখ্যা। কিন্তু, সেটা নথিভুক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেও বাড়তে পারে। এমনটা মনে করার কারণ, জন্মের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে কি না, এখনও তা স্পষ্ট নয়। যেমন, ২০১৯ সালে দেশের আনুমানিক জন্মের ৯২.৭ শতাংশ ও আনুমানিক মৃত্যুর ৯২ শতাংশ নথিভুক্ত হয়েছিল। তার দুই বছর আগে, ২০১৭ সালে এই সংখ্যাগুলো ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ২০১৭ সালে দেশে আনুমানিক জন্মের মাত্র ৮৩.৫ শতাংশ এবং আনুমানিক মৃত্যুর ৭৮.৩ শতাংশ নথিভুক্ত হয়েছিল।
Read story in English