Advertisment

Explained: ট্রাস সরকারের পতন, কেন ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী?

চার মাসে ২ জন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Truss

তাঁর ছয় সপ্তাহ বয়সি সরকারের ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ক্রমেই বাড়ছিল। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে তিনি একটি বিবৃতি দেওয়ার পরে পদত্যাগ করেন। ট্রাস জানান, নতুন কনজারভেটিভ নেতা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচিত হবেন। গোটা প্রক্রিয়ার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত সময় নির্ধারণ করা হবে। উত্তরসূরি নির্বাচিত না-হওয়া পর্যন্ত তিনি নিয়মমাফিক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

Advertisment

৪৫ দিনের প্রধানমন্ত্রী
ট্রাস, মাত্র ৪৫ দিন আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ব্রিটেনের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে স্বল্প সময়ের প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই ব্রিটেনের দু'জন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হলেন। এর আগে বরিস জনসন জুলাইয়ের গোড়ায় পদত্যাগ করেন। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের ক্রমবর্ধমান আর্থিক অনিশ্চয়তা বিশ্বের ষষ্ঠ-বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিকে আরও চমকে দেবে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।

সুনাককে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন
বরিস জনসনের পদত্যাগের পর বরিস সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা রাজকোষের প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে নির্বাচনে পরাস্ত করে লিজ ট্রাস। কনজারভেটিভ দলের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর ৬ সেপ্টেম্বর তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন। বৃহস্পতিবার ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির বাইরে দেওয়া তাঁর ভাষণে ট্রাস জানান, যে ভোটাররা তাঁকে জিতিয়েছেন, তিনি তাঁদের আস্থার মর্যাদা রাখতে পারেননি। তাই রাজা তৃতীয় চার্লসকে টোরি বা কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন- কুর্সি ছাড়লেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস, ৪৫ দিনের মধ্যেই ইস্তফা

এক সপ্তাহে দুই মন্ত্রীর সরে যাওয়া
ট্রাস জানান, ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছেন। তাঁকেও পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ট্রাসের পদত্যাগের আগে বুধবারই ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান পদত্যাগ করেন। গত শুক্রবারই ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত হন। তার পর সুয়েল্লাই ছিলেন সরকারের প্রবীণ মন্ত্রী। কিন্তু, কোয়ার্টেংকের বরখাস্তের একসপ্তাহের মধ্যে সুয়েল্লাও পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে ট্রাস সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন।

Read full story in English

Britain Prime Minister Liz Truss
Advertisment