এবারের বাজেটে করদাতাদের উৎসাহিত করতে সবরকম চেষ্টা চালিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর, সেই জন্য তিনি করকাঠামোয় ধাপের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন। বাজেট বক্তৃতায় নতুন কর ব্যবস্থার পক্ষে সুর চড়িয়েছেন। নতুন কর কাঠামোয় কিছু বিশেষ ছাড় দিয়েছেন। বোঝাতে চেয়েছেন, নতুন কর কাঠামো হবে অনেক বেশি সরল।
বাজেট পেশের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সীতারামন সাংবাদিকদের জানান যে সরকারের চেষ্টা ছিল নতুন কর ব্যবস্থা তৈরি। যাঁরা কোনও ছাড় পান না, সেই করদাতাদের কাছেও এই নতুন করব্যবস্থা যথেষ্ট লাভজনক হবে। যদিও এর আগের কর ব্যবস্থা ২০২০ সালেই চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, আগের কর ব্যবস্থার চেয়ে তার বিশেষ ফারাক ছিল না। সরকারের আশা, এবার পরিস্থিতিটা বদলাবে।
পুরোনো কর ব্যবস্থায় কোনও পরিবর্তন না-হলেও, সরকার নতুন ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। ৫ লক্ষ টাকার আগের সীমা থেকে প্রতিবছর করযোগ্য আয়ের ক্ষেত্রে ছাড়ের সুযোগ বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করেছে। যার মানে হল, যাঁদের বার্ষিক আয় ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, তাঁদের নতুন ব্যবস্থায় কর দিতে হবে না। একইসঙ্গে পুরোনো কর ব্যবস্থায় আয়কর ছাড়ের সীমা ৫ লক্ষ টাকাই রাখা হয়েছে।
এই করকাঠামোয় শুধু নিম্ন মধ্যবিত্তদেরই যে সুরাহা হয়েছে, তা-ই নয়। অতি-ধনীদেরও সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বার্ষিক আয় ৫ কোটি টাকারও বেশি, নতুন কর ব্যবস্থায় বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে যদি একজন ব্যক্তি মোটা কর ছাড়ের দাবি না-করেন, তিনি নতুন কর ব্যবস্থায় লাভবান হতে পারেন।
আরও পড়ুন- আদানি গোষ্ঠীর ঋণের ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করল রিজার্ভ ব্যাংক
অর্থ মন্ত্রকের একজন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শুধুমাত্র যারা ৩.৭৫ লক্ষ টাকার বেশি ছাড় দাবি করছেন, কেবল তাঁরাই পুরোনো করব্যবস্থায় উপকৃত হবেন। বাকিরা নতুন করব্যবস্থার দিকে ঝুঁকবেন বলেই সরকার মনে করছে।
Read full story in English