Advertisment

টেলিভিশনে আমদানি নিষেধাজ্ঞা, দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি?

চিনা দ্রব্য বর্জন করে 'আত্মনির্ভর ভারত' গঠনকেই মূল লক্ষ্য করতে চলেছে কেন্দ্র। তাই বিদেশ থেকে আসা সমস্ত ধরণের টেলিভিশন সেট আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নয়া নীতিতে টিভি সেটের দাম বাড়বে?

স্বদেশি দ্রব্যের প্রভাব বৃদ্ধি করতে বিদেশি পণ্যের উপর নয়া আমদানি নিষেধাজ্ঞা আনল মোদী সরকার। চিনা দ্রব্য বর্জন করে 'আত্মনির্ভর ভারত' গঠনকেই মূল লক্ষ্য করতে চলেছে কেন্দ্র। তাই বিদেশ থেকে আসা সমস্ত ধরণের টেলিভিশন সেট আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমজনতার উপর কী প্রভাব পড়বে?

Advertisment

টেলিভিশন সেট আমদানিতে কতটা বিদেশ নির্ভর ভারত?

বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে ভারতের টেলিভিশন শিল্পে বিনিয়োগ হয় প্রায় ২০ কোটি ডলার। যার মধ্যে ৩৬ শতাংশ দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশ এবং চিন দেশে বিনিয়োগ হয়। বিদেশি টিভি ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে স্যামসাং, শাওমি, ওয়ানপ্লাস, সোনি এবং এলজি ব্র্যান্ডগুলির কথাই মাথায় আসে প্রথমে। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই চিনা সংস্থা। তাই নিজেদের বাজার ঠিক রাখতে সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই ভারতে তাঁদের টিভিসেটগুলি উৎপাদনের প্রক্রিয়া প্রস্তুত করে ফেলেছে। এদের মধ্যে অনেকেই টেলিভিশন সেটের পার্টস থেকে শুরু করে সব পণ্যেই এদেশে তৈরি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় টোকিওতে হেডকোয়ার্টার সোনি টিভির। কিন্তু বাজার এবং চাহিদার জন্য ভারতেই তাদের জনপ্রিয় টেলিভিশন সেট ব্রাভিয়া তৈরি করছে এই সংস্থা। অন্যদিকে ২০১৮ সাল থেকেই চিনা সংস্থা শাওমি তাঁদের এমআই টিভি তৈরি করা শুরু করেছে ভারতে। এমনকী প্রোডাকশনের সঙ্গে জড়িত সমস্ত পণ্যও আমদানি না করে ভারতেই তৈরি করছে তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ইন্ডাস্ট্রির এক এক্সিকিউটিভের কথায়, "এলজি এবং স্যামসংও ভারতে তাঁদের ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে শক্তিবৃদ্ধি করছে। কারণ আমাদের ক্ষমতা রয়েছে। এরপর আমরা ক্রমশ সেই ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে থাকব।"

আরও পড়ুন, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ছে, এর কারণ কী?

বৃহস্পতিবার বিদেশ বাণিজ্য অধিদপ্তর নয়টি বিভাগের রঙিন টিভি সেট আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর অর্থ এই নয় যে আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অর্থ হ'ল আমদানিকারকরা এখন এই পণ্যগুলি দেশে আনার আগে তাঁদের ডিজিএফটি থেকে নো অবজেকশন শংসাপত্রটি নিতে হবে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিসংঘের সংস্থা (আসিয়ান) -র দেশগুলির সাথে ভারত যে বিদ্যমান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সেই মোতাবেকই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় যে চিন তার দেশে উৎপন্ন পণ্য আসিয়ান দেশগুলির মাধ্যমে ভারতের বাজারে ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

এর ফলে কি টেলিভিশনের দাম বাড়বে?

এখনও এই বিষয়টি বাণিজ্যমহলেও স্বচ্ছ নয়। কারণ টিভি তৈরিতে অনেক পণ্যেই বিদেশ থেকে এনে তা অ্যাসেম্বল করা হয়। যদিও সেক্ষেত্রে নন-ডিউটি একটা চার্জ ধার্য হবে না বলেই খবর। তবে যদি সম্পূর্ণ টিভি সেট আনা হয় সেক্ষেত্রে নয়া নিয়ম মানতে হবে। ন্যাশনাল কমিটি অফ ইলেক্ট্রনিক্সয়ের সদস্য বিনোদ শর্মা বলেন, "আমার মনে হয় না টেলিভিশন সেটের দাম বাড়তে পারে। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল বিদেশ থেকে অনেক পণ্য আসে এবং সেখানে কর লাগু হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী দাম বৃদ্ধির কোনও কারণ দেখছি না।"

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

business china Explained xiaomi
Advertisment