Vladimir Putin meets Xi Jinping: বিশ্ব রাজনীতিতে দ্রুত বদল! চিনে রুশ প্রেসিডেন্ট, উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার
Russia-China ties: রাশিয়ার নেতা হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে ১৯ বার চিন সফর করলেন ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমী দুনিয়া চায়, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করুক। আর, সেজন্য পুতিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করুক চিন সরকার। এই পরিস্থিতিতে চিন-রাশিয়া মৈত্রীর দিকে তাকিয়ে নয়াদিল্লি।
Xi Jinping-Vladimir Putin-Narendra Modi: বাম দিক থেকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। (ছবি- এক্সপ্রেস)
With deepening Russia-China ties what are the concerns for India: চিনের ঐতিহাসিক, 'গ্রেট হল অফ পিপল'-এ বৈঠক করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৃহস্পতিবার (১৬ মে), তাঁরা বৈঠক করেন। রাশিয়ার নেতাকে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) 'গার্ড অব অনার'-ও দিয়েছে। শিকে 'প্রিয় বন্ধু' বলে দাবি করে পুতিন বলেছেন, রাশিয়া এবং চিনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত 'গুরুত্বপূর্ণ বিষয়'। তবে এই সম্পর্ক কারও বিরুদ্ধাচারণ করার জন্য গড়ে ওঠেনি। শি বলেন, চিন-রাশিয়ার বন্ধুত্ব 'চিরস্থায়ী', এই সম্পর্ক, 'আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও মডেল হয়ে উঠেছে।'
Advertisment
দুই নেতার সাম্প্রতিক সফর দুই নেতা পরে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর উদযাপনের লক্ষ্যে একটি কনসার্টেও যোগ দেন। রাশিয়া ইতিমধ্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আর, তারপরই পুতিন দু'দিনের চিন সফর করলেন। শি সবেমাত্র ইউরোপ সফর থেকে ফিরেছেন। ইউরোপে তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন। হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়ার নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। এই হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়ার নেতা, দুজনেই পুতিনের বন্ধু।
চিন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার মাত্র কয়েক দিন আগে চিন এবং রাশিয়া একটি 'সীমাহীন' কৌশলগত অংশীদারিত্বে স্বাক্ষর করেছিল। দুই বছরেরও বেশি সময় পরে, রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের পাশাপাশি ইউক্রেনের দক্ষিণে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত।
Advertisment
চিনের কাছে পশ্চিমী দুনিয়ার দাবি ইউক্রেন যুদ্ধে চিনের ভূমিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমী দেশগুলোর কাছে একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। গত মাসে চিনে সফরের সময়, আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন ও অর্থসচিব জ্যানেট ইয়েলেন বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। আর, তারপরই রুশ প্রেসিডেন্ট চিন সফর করলেন। রাশিয়ার নেতা হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে ১৯ বার চিন সফর করলেন ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমী দুনিয়া চায়, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করুক। আর, সেজন্য পুতিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করুক চিন সরকার। এই পরিস্থিতিতে চিন-রাশিয়া মৈত্রীর দিকে তাকিয়ে নয়াদিল্লি।
উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের চিন-রাশিয়ার মৈত্রী বৃদ্ধিতে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের। বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়ার গুরুত্ব অত্যন্ত কমে গিয়েছে। কিন্তু, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। আজও তা অনেকাংশেই বজায় আছে। আর চিন ভারতের বিরূপ প্রতিবেশী। এমন অবস্থাতেই রাশিয়ার সঙ্গে চিনের বন্ধুত্ব বাড়ছে। তাতে ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক কোন জায়গায় দাঁড়াবে, এখন সেনিয়েই চিন্তায় নয়াদিল্লি।