Advertisment

মহিলারা কেন পুরুষদের থেকে কম চুলকান? এর কারণ জানলে অবাক হবেন

ঠিক কী কারণে এমন হয় জানা আছে?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জানুন নেপথ্যের গল্প

গরম হোক বা স্বভাববশত, চুলকানির অভ্যাস কিন্তু অনেকের আছে। কারওর মধ্যে, নানা ধরনের র‍্যাশ কিংবা অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। তবে নারী-পুরুষের মধ্যে আসলেই কার চুলকানি বেশি - এটি ভীষণ গম্ভীর বিষয়! পুরুষের তুলনায় নারীদের চুলকানি কম নাকি বেশি? এই বিষয় নিয়ে ভীষণরকমের মতভেদ রয়েছে। এদিকে চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে এর নেপথ্যে রয়েছে অজানা এক সমস্যা।

Advertisment

নারীদেহে হরমোনের প্রভাবের কারণেই চুলকানির মাত্রা কম। 'এস্ট্রাডোল' নামক এক হরমোনের কারণেই, ইচিং এর সমস্যা নারীদেহে অনেক কম। Kyoto বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল এই নিয়ে নানান তথ্য পেশ করেছে। গবেষণা অনুযায়ী, চুলকানি নানা কারণে হতে পারে, কেবল সোরিয়াসিসের কারণে নয়। বরং শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং আণবিক নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর পুরুষদের মধ্যে এই হরমোনের প্রভাব একেবারেই নেই। ফলেই তাদের মধ্যে চুলকানির মাত্রা অনেক বেশি।

তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল। যাতে দেখা গেছিল, এস্ট্রাডোল প্রয়োগ করার পরে ইমিউন সেলসে সাইটোকাইন এর মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। এবং এই একই পরিস্থিতি মানুষের শরীরেও। এই হরমোনের কারণেই শরীরের প্রদাহ অত্যধিক কমতে থাকে। প্রদাহ কম থাকলে চুলকানি অবশ্যই কম থাকবে। এর সঙ্গেই সম্পর্কিত শরীরে জলের প্রভাব। এটি সঠিক মাত্রায় থাকলে শরীর শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম, ফলে সেই থেকেও চুলকানির সমস্যা কমে।

যেকোনও হরমোনের কারণে, শরীরে নানা ধরনের বদল খুব স্বাভাবিক। এমনকি ভিন্ন ধরনের হরমোনের কারণে ভিন্ন প্রভাব আসতে পারে। সেই প্রভাব অবশ্যই নারী পুরুষে আলাদা হয়। অনেকসময় মুড সুইং কিংবা নানান শারীরিক পরিবর্তন - হরমোনের কারণে দেখা দিতে পারে।

itching human health women health
Advertisment