আজ ৮ মার্চ সারা পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হচ্ছে। এই উদযাপনের এটি ১০৯তম বর্ষ।
সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই আন্তর্জাতিক দিনটি নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অর্জন উদযাপনের দিন। লিঙ্গসাম্যের কাজে গতি আনার আহ্বানের জন্যও এই দিনটি পালিত হয়।
২০২০ সালের এই প্রচারের বিষয়বস্তু #EachforEqual। রাষ্ট্রসংঘ এবারের থিমের নাম দিয়েছে, আমি সমতার প্রজন্ম- নারীর অধিকার উপলব্ধি করছি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের উৎস শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে ১৫ হাজার মহিলা ভোটাধিকার ও কাজের পরিস্থিতির উন্নতি দাবি করে বিক্ষোভ করেছিলেন। এক বছর পর, আমেরিকার সোশালিস্ট পার্টি একটি প্রস্তাব পাশ করে, এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নারী দিবস বলে সারা আমেরিকায় পালিত হয়। ১৯১৩ সাল পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার জাতীয় নারী দিবস হিসেবে পালিত হত।
১৯১০ সালে, কর্মরতা মহিলাদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জার্মান মার্ক্সবাদী তথা নারী অধিকার কর্মী ক্লারা জেটকিন সারা পৃথিবীতে ২৮ ফেব্রুয়ারি নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ১৭টি দেশের ১০০ মহিলার সকলেই এ ব্যাপারে সম্মত হন। ১৯১১ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে পালিত হয়।
১৯১৩ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চে দিনান্তরিত হয়, এবং সেটিই সরকারি দিন হিসেবে রয়ে গিয়েছে।
পরবর্তী বছরগুলিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস বিভিন্ন আন্দোলনের সূচনাবিন্দু হয়ে থেকেছে। ১৯১৪ সালে ইউরোপের মহিলারা এই দিনটিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বিরোধী মিছিল করেন, এবং ব্রিটেনের নারীরা এই দিনে তাঁদের ভোটাধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ১৯১৭ সালে যুদ্ধে ২০ লক্ষ সেনার মৃত্যুর প্রতিবাদে রাশিয়ার মহিলারা রুটি ও শান্তির দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেন। এই ধর্মঘট চলেছিল চার দিন ধরে এবং তার জেরে জার দ্বিতীয় নিকোলাস পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। রাশিয়ায় যে অস্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, তারা মহিলাদের ভোটাধিকার দিয়েছিল।