বিশ্বব্যাংকের একটি নতুন রিপোর্ট, 'দারিদ্র্য এবং বিভাজিত সমৃদ্ধি, ২০২২: সংশোধনের পথ' বলছে, বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণে করোনা অতিমারী গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা। এই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, যা পরিস্থিতি তাতে আর্থিক অগ্রগতি ঘটলেও ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে চরম দারিদ্র্যের অবসানের সম্ভাবনা কম।
রিপোর্ট কী বলছে?
রিপোর্ট বলছে, বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাস ২০১৫ সাল থেকে ধীরে ধীরে হয়ে আসছিল। কিন্তু, করোনা অতিমারি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ সেই দারিদ্র্য হ্রাসের ফলাফলকে বিপরীতমুখী করে দিয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে, বিশ্বব্যাপী চরম দারিদ্র্যের হার অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তারপর থেকে, দারিদ্র্য হ্রাস বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মতই তাল মিলিয়ে ধীর হয়ে গেছে। কোভিড-১৯ এবং পরবর্তীতে ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে অর্থনীতি উত্থানের বদলে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখে ছুটেছে।
লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব
যার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূর করার আন্তর্জাতিক লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভবই হবে না।
শুধুমাত্র ২০২০ সালে, চরম দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৭ কোটিরও বেশি বেড়েছে। যা ১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি। ফলে, আনুমানিক ৭ কোটি ১৯ লক্ষ মানুষ ২০২০ সালের শেষ নাগাদ প্রতিদিন ২.১৫ ডলারেরও কম খরচ করে বেঁচে ছিলেন।
আরও পড়ুন- সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি আরনো, ফুটিয়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত যন্ত্রণা
বেড়েছে অসাম্য
দারিদ্র্যের সঙ্গেই বেড়েছে অসাম্যও। সবচেয়ে দরিদ্র মানুষ মহামারীর সবচেয়ে বেশি খরচ বহন করেছে।: সবচেয়ে দরিদ্র ৪০ শতাংশ মানুষের আয়ের ক্ষতি হয়েছে গড়ে ৪ শতাংশ। যা আয় বন্টনের হিসেবে ধনী ২০ শতাংশ লোকের দ্বিগুণ। কয়েক দশকের মধ্যে এটাই প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী বৈষম্য বৃদ্ধি।
ভারতেও বেড়েছে দারিদ্র্য
বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট বলছে ভারতেরও দারিদ্র্য চরম হারে বেড়েছে। বেসরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মার্কিন ১.৯০ ডলার খরচের ক্ষমতা ছিল না ভারতের ১০.৪ শতাংশ লোকের। সেটাই ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছে ১৩.৬ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস আবার উদ্বেগ বাড়িয়ে দারিদ্র্যের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট, প্রকাশ করবে না-বলে জানিয়েছে।
Read full story in English