বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (হু) মহামারি মোকাবিলার জন্য নতুন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯৪টি সদস্য দেশ এই ব্যাপারে একটি চুক্তিপত্রে বাধ্যতামূলকভাবে আবদ্ধ হবেন। এই চুক্তিপত্রের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ২০২৪ সাল। এই নতুন চুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন হু প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস। তিনি জানিয়েছেন, এই চুক্তি হল নতুন প্রজন্মের কাছে প্রতিশ্রুতি। যে প্রতিশ্রুতিতে বলার চেষ্টা হবে যে আমরা আর রাষ্ট্রসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে আতঙ্ক এবং অবহেলার পুরনো দিনগুলোয় ফিরে যাব না। করোনা অতিমারির জেরে বিশ্বে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে আঘত ভাইরাসগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কী এই মহামারি চুক্তি?
ডব্লিউএইচও-এর ইতিমধ্যেই বাধ্যতামূলক নিয়ম রয়েছে যা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধান নামে পরিচিত। এই বিধান ২০০৫ সালে দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করেছে। যেখানে জনস্বাস্থ্য কর্মসূচিগুলো শুধু নির্দিষ্ট কোনও দেশে নয়, সীমান্ত পেরিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়ানোর চেষ্টা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০০৫ সালের বিধি অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি কোনও বিষয় থাকলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তা জানাতে হবে। সেইমতো ব্যবসা এবং ভ্রমণ নিয়ন্ত্রিত হবে।
সার্সের প্রাদুর্ভাবের পর
২০০২-২০০৩ সালের মধ্যে সার্সের প্রাদুর্ভাবের পরে গৃহীত, এই সব নিয়ম এখনও আঞ্চলিক মহামারীর জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হচ্ছে। যেমন ইবোলা কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারী নয়। তার পিছনে হু-এর এই সব বিধিগুলোর বড় কৃতিত্ব রয়েছে। করোনার ক্ষেত্রে কিন্তু, চিন এই নিয়মের অন্যথা করেছিল। যার জন্যই কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়মগুলো পর্যালোচনা করে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন- বোরখার আড়াল থেকে মহাকাশে, প্রথম আরব মহিলা মহাকাশচারী, কে রায়নাহ বারনবি?
চুক্তি মানতে বাধ্য
এই মহামারী চুক্তি মানতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো বাধ্য। এই সিদ্ধান্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোই নিয়েছে। ২০০৩ সালে হওয়া ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের পরে এটি দ্বিতীয় এই ধরনের সব সদস্য রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য চুক্তি হবে। ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল চুক্তির লক্ষ্য হল কর আরোপ, লেবেলিং এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ধূমপান হ্রাসের ব্যাপারে ভোক্তাদের সচেতন করা।