সাংহাইয়ে কমিউনিস্ট পার্টির প্রাক্তন প্রধান লি কিয়াং শনিবার (১১ মার্চ) চিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। প্রধানমন্ত্রী, চিনের প্রশাসনে দ্বিতীয় শীর্ষপদ। শুক্রবার অভূতপূর্বভাবে তৃতীয় মেয়াদে শি জিনপিং সর্বসম্মতিক্রমে চিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর ক্ষমতা সুসংহত করার চেষ্টা শুরু করেছেন। সেই কারণে ৬৯ বছরের শি, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান পদে অনুগতদের বসানো শুরু করেছেন। লি তাঁর তেমনই একজন অনুগত সমর্থক।
আগে চিনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লি কেকিয়াং। তিনি ২০১৩ সাল থেকে জিনপিঙের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন। শি যতই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করেছেন। ততই কেকিয়াঙের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। প্রবল বাস্তববাদী এবং ব্যবসা-বান্ধব বলে বিবেচিত, ৬৩ বছর বয়সি চিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। কোভিড অতিমারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে চিনের আর্থিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারই তাঁর কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, দলে শি-এর প্রতি আনুগত্যের কারণেই কেকিয়াঙের চেয়ে লি কিয়াং বেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন, এমনটাই প্রত্যাশিত।
লিকে চিনের প্রধানমন্ত্রী করার রাস্তা আগে থেকেই পরিষ্কার করে যাচ্ছিলেন শি জিনপিং। তিন দশক ধরে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত লি কিয়াং। ২৪ বছর বয়সে ১৯৮৩ সালে তিনি চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। তাঁকে ২০২২ সালের অক্টোবরে দলের পার্টি কংগ্রেসের সময় পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির দুই নম্বর ব্যক্তির আসনে বসানো হয়। এর আগে লি কিয়াং চিনের প্রশাসনে তেমনভাবে একটা সক্রিয় ছিলেন না। বরং, দলীয় দায়িত্বই সামলেছেন।
আরও পড়ুন- ফিরে দেখা! তিন বছর আগে এই দিনেই অতিমারি ঘোষিত হয়েছিল করোনা
যেমন, ৪৩ বছর বয়সে তিনি ওয়েনজু শহরে দলের সম্পাদকের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। ২০০৪ সালে তিনি ঝেজিয়াঙে দলের রাজ্য কমিটির মহাসচিব হন। ২০০৫ সালে ঝেজিয়াঙে দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হন। সেই সময় ঝেজিয়াঙে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক ছিলেন শি জিনপিং নিজেই। সেই সময় ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত লি কিয়াং কার্যত শি জিনপিঙের সহকারি হিসেবে কাজ করেছেন। আর সেটাই লি কিয়াঙের রাজনৈতিক উত্থানের পক্ষে সবচেয়ে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।