ইয়েস ব্যাঙ্ক: ৫০ হাজার টাকার নিয়ম নির্বুদ্ধিতা কেন?

গত বুধবার পর্যন্ত, যখন ইয়েসব্যাঙ্ক মোটামুটি অরক্ষিতই মনে হচ্ছিল, তখনও পর্যন্ত এটিএমে লাইন দেখা যায়নি। অথচ গত দেড় দু বছর ধরে ব্যাঙ্ক যে সমস্যায় আছে, সে কথা মোটামুটি জানাই ছিল।

গত বুধবার পর্যন্ত, যখন ইয়েসব্যাঙ্ক মোটামুটি অরক্ষিতই মনে হচ্ছিল, তখনও পর্যন্ত এটিএমে লাইন দেখা যায়নি। অথচ গত দেড় দু বছর ধরে ব্যাঙ্ক যে সমস্যায় আছে, সে কথা মোটামুটি জানাই ছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
yes bank

ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা নিজেদের জমানো টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ তুলতে পারবেন না। বুধবার, ৫ মার্চ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই নির্দেশ দিয়েছে। একদিন পরেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আমানতকারীদের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁদের জমানো টাকা নিরাপদে রয়েছে।

Advertisment

অন্দরের খবর, কিছু বড় আমানতকারীরা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নিজেদের টাকা তুলে নিয়েছেন।

কিন্তু সে ভিন্ন প্রসঙ্গ, যা নিয়ে সম্ভবত তদন্ত হবে। গত দু সপ্তাহে যেসব আমানতকারীরা টাকা তুলে নিয়েছেন তাঁদের খুঁজে বের করার বিষয়টি চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠতে পারে।

গত বুধবার পর্যন্ত, যখন ইয়েসব্যাঙ্ক মোটামুটি অরক্ষিতই মনে হচ্ছিল, তখনও পর্যন্ত এটিএমে লাইন দেখা যায়নি। অথচ গত দেড় দু বছর ধরে ব্যাঙ্ক যে সমস্যায় আছে, সে কথা মোটামুটি জানাই ছিল।

Advertisment

এসবিআইকে সঙ্গে নিয়ে যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সরকার বিষয়টির মধ্যে প্রবেশ করল, সে সময়ে আমানতকারীরা জানতেন ভয়ের কিছু নেই। সমস্ত আমানতকারীরাই সুরক্ষিত। এই সময়েই টাকা তোলার উপর নিয়ন্ত্রণ জারি হওয়া আমানতাকারীদের কাছে সমস্যাজনক হয়ে দাঁড়ায়।

নিরাপত্তার ভাবাবেগকে সুনিশ্চিত করতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তাদের সিন্দুক খুলে দিতে হবে, টাকার জোগানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে চলবে না। আমানতকারীদের বরং বলিন তাঁরা সব টাকা তুলে নিতে পারেন। ২০০৮ সালে একটি বড় বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছিল।

মাত্র ৫ শতাংশ বৃদ্ধির হার নিয়ে যখন গোটা অর্থনীতি ধুঁকছে, সে সময়ে ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের টাকা তোলার উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করা দুটি কারণে বোকার মত।

প্রথমত, আমানতকারীরা এর ফলে কম ঝুঁকির বেসরকারি ব্যাঙ্ক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দিকে ঝুঁকবেন। এর ফলে ঋণ নেবার পরিমাণ কমবে।

দ্বিতীয়ত, বেসরকারি ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের আকর্ষণ করবার জন্য বেসরকারি ব্যাঙ্কে আমানতের হার বাড়াবে। আমানতের হার বাড় মানে ঋণের হার বৃদ্ধি, যার জেরে এর মূল্যবৃদ্ধিও হবে।

ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্টের ৪৫ নং ধারা অনুসারে, সরকার এই সীমায় ছাড় দিতে পারে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উপর মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর নিয়ামক শাখা হিসেবে আস্থা বৃদ্ধি করতে, সরকারের উচিত দ্রুত টাকা তোলার ক্ষেত্রে নির্ধারিত সীমার পরিমাণ বাড়ানো এবং যত দ্রুত সম্ভব এই নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা।