আরোগ্য সেতু অ্যাপে নাগরিকদের চিহ্নিতকরণের তথ্যগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আর অ্যাপে তথ্য সংগ্রহের জায়গাটাই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এই অ্যাপ ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছিল। তখন করোনা অতিমারি তুঙ্গে। আক্রান্তদের চিহ্নিত করার জন্য চালু করা হয়েছিল অ্যাপটি।
মামলা দায়ের
এই অ্যাপে সংগৃহীত তথ্য বেহাত হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। কারণ, বিমানবন্দরের মত নানা স্থানে করোনা পরীক্ষা সরকার বাধ্যতামূলক করেছিল। আর, এই পরীক্ষার ফলে কোনও আক্রান্ত ধরা পড়লে, তাঁর তথ্য ঢুকে যাচ্ছিল আরোগ্য সেতু অ্যাপে। অতিমারি পরিস্থিতি অতিক্রমের পর আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের সঙ্গে এই অ্যাপকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে এই অ্যাপ এক বৃহত্তর স্বাস্থ্য অ্যাপে পরিণত হয়।
আরোগ্য সেতুর তথ্য কীভাবে কাজে লেগেছে?
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি), কংগ্রেস সাংসদ অমর সিং আরোগ্য সেতুর ব্যাপারে সংসদে বিস্তারিত জানতে চান। তাঁর প্রশ্ন ছিল, আরোগ্য সেতুতে সংগৃহীত তথ্য সরকার কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করছে। কোন আইন বা বিধিতে সরকার আরোগ্য সেতুর তথ্য সংরক্ষণ করছে, সেটাও জানতে চান অমর সিং। যেসব প্রতিষ্ঠান আরোগ্য সেতুর তথ্য ব্যবহার করছে, সেই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকাও চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ।
দায়িত্ব বণ্টন
জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৫-এর অধীনে জাতীয় নির্বাহ কমিটি ২৯-০৩-২-২০২০ সালে একটি নির্দেশ জারি করেছিল। সেই নির্দেশমতো প্রযুক্তি এবং ডেটা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী সমস্যা চিহ্নিত করতে, কার্যকর সমাধানের ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। সেই ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন ১১-০৫-২০২০ তারিখেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কীভাবে আরোগ্য সেতু অ্যাপে সংগৃহীত তথ্যগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন- কেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান’ তাঁর এত প্রিয়? এতদিনে সত্যিটা সামনে আনলেন মমতা
মন্ত্রীর জবাব
মন্ত্রী বলেন, 'স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অনুমোদিত আধিকারিক, রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ, জাতীয় এবং রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, জেলা সিভিল সার্জনদের আরোগ্য সেতুর মাধ্যমে সংগৃহীত ডেটা নিরাপদে ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছিল।'
Read full story in English